/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/08/earths-rotation-2025-10-08-17-07-31.jpg)
Earth's Rotation: পৃথিবীর ঘূর্ণন।
Earth’s rotation change: আজ আমরা জানি—একটি দিন মানে ২৪ ঘণ্টা বা ৮৬,৪০০ সেকেন্ড। কিন্তু বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, পৃথিবী সবসময় এই গতিতে ঘুরত না। একসময়, অর্থাৎ প্রায় ৬০০ মিলিয়ন (৬০ কোটি) বছর আগে, দিনে ছিল মাত্র ২১ ঘণ্টা!
দিনের দৈর্ঘ্য
দিনের দৈর্ঘ্য নির্ভর করে পৃথিবীর ঘূর্ণনের ওপর। পৃথিবী যত দ্রুত ঘুরবে, দিন তত ছোট হবে। বিজ্ঞানীরা গবেষণায় দেখেছেন যে চাঁদের জোয়ারের টান, সূর্যের মহাকর্ষ, এবং পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ ভরের বণ্টন ধীরে ধীরে পৃথিবীর ঘূর্ণনকে কমিয়ে দিয়েছে। ফলে আজ দিন ২৪ ঘন্টা হয়েছে।
দিনের দৈর্ঘ্য নির্ভর করে পৃথিবীর ঘূর্ণনের ওপর। পৃথিবী যত দ্রুত ঘুরবে, দিন তত ছোট হবে। বিজ্ঞানীরা গবেষণায় দেখেছেন যে চাঁদের জোয়ারের টান, সূর্যের মহাকর্ষ, এবং পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ ভরের বণ্টন ধীরে ধীরে পৃথিবীর ঘূর্ণনকে কমিয়ে দিয়েছে। ফলে আজ দিন ২৪ ঘণ্টা হয়েছে।
গড়ে প্রতি ১০০ বছরে পৃথিবীর দিন প্রায় ১.৮ মিলিসেকেন্ড দীর্ঘ হচ্ছে। শুনতে সামান্য মনে হলেও, কোটি বছরের হিসেবে এটি বিশাল পার্থক্য তৈরি করেছে। তাই ৬০ কোটি বছর আগে ২১ ঘণ্টার দিন আজ ২৪ ঘণ্টায় পরিণত হয়েছে। পৃথিবী ও চাঁদের মধ্যে আকর্ষণ (tide force) পৃথিবীর ঘূর্ণনকে ধীরে ধীরে থামাচ্ছে। চাঁদও এর ফলে প্রতিবছরে প্রায় ৩.৮ সেন্টিমিটার দূরে সরে যাচ্ছে। এই প্রাকৃতিক ব্যালান্সই দিনের দৈর্ঘ্য বাড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন- লাগবে না লাইসেন্স! একটি মাত্র সিগারেটের দামেও অফিস-বাড়ি, ৪০ হাজারেই পান সেরার সেরা Electric Scooter
দিনের দৈর্ঘ্য নির্ভর করে শুধু চাঁদ-সূর্যের টানে নয়। ভূমিকম্প, হিমবাহের গলন, সমুদ্রের প্রবাহ, এমনকী পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রও পৃথিবীর ঘূর্ণনকে প্রভাবিত করে। ২০২০ সালে বিজ্ঞানীরা লক্ষ্য করেন, পৃথিবী সাময়িকভাবে দ্রুত ঘুরতে শুরু করেছে! অর্থাৎ, কিছু দিনের দৈর্ঘ্য ২৪ ঘণ্টার চেয়েও কম হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এটি অস্থায়ী একটি প্রভাব — হিমবাহ গলন, বায়ু চাপ ও পৃথিবীর কোরের পরিবর্তনের কারণে এটা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন, ভবিষ্যতে আবার পৃথিবীর ঘূর্ণন ধীর হবে, এবং দিনে সময় বাড়বে। তবে আমাদের জীবদ্দশায় এই পরিবর্তন বোঝা যাবে না।
আরও পড়ুন- ইনস্টাগ্রামে ১০ লক্ষ ভিউয়ের জন্য মেটা কত টাকা দেয়? জানলে আপনি চমকে উঠবেন!
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এর প্রভাব না পড়লেও, GPS, স্যাটেলাইট, কম্পিউটার ও ইন্টারনেট সার্ভার–এ সঠিক সময় ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত জরুরি। পৃথিবীর ঘূর্ণনে সামান্য পরিবর্তনও সময় সিঙ্কে গোলযোগ আনতে পারে। প্রকৃতি নিজের ছন্দে বদলায়—এটাই তার নিয়ম। আজকের ২৪ ঘণ্টার দিন কোটি বছরের পরিবর্তনের ফল। এমন গবেষণা আমাদের শুধু পৃথিবীর ইতিহাসই নয়, ভবিষ্যতের গতিপথ বুঝতেও সাহায্য করে।