লোকসভা নির্বাচনের প্রচারকে কেন্দ্র করে সোশাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করেছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। ফেসবুক, টুইটার হোয়াটসঅ্যাপ থেকে শুরু করে এমনকি ইনস্টাগ্রামও রয়েছে প্রচার মাধ্যমের তালিকায়। তবে এতেই শেষ নয়, প্রচারে যাতে ভাষা কোনও বাধা হয়ে না দাঁড়ায় এবং সকলের বোধগম্য হয় সে কারণে, আঞ্চলিক দলগুলি বেছে নিয়েছে স্বদেশীয় মাধ্যম - শেয়ার চ্যাটকে। যেখানে নেই ইংরেজি ভাষার কচকচানি। একাধিক আঞ্চলিক ভাষায় ব্যবহার করা যায় অ্যাপটি।
শেয়ারচ্যাট প্ল্যাটফর্মটিতে ইংরেজি বাদে ১৫ টি আঞ্চলিক ভাষায় ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে। যার পরিকাঠামো দেখলে মনে হবে এটি ইনস্টাগ্রামের ভারতীয় ভার্সন। অ্যাপটি ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে লঞ্চ হয় ভারতে। ইতিমধ্যে ১০০ মিলিয়নেরও বেশি ডাউনলোড করা হয়েছে এই অ্যাপ। তারমধ্যে মাসিক সক্রিয় ইউজার ৪৫ মিলিয়ন। গত বছর থেকে জনসাধারণের জন্য অ্যাপের পাবলিক পলিসি উন্নত করা হয়েছে। যার ফলে ক্রমশ শেয়ারচ্যাটের সঙ্গে বেড়েছে রাজনৈতিক দল ও রাজনীতিবিদদের সংযোজন।
আরও পড়ুন: নিজে নিম্নচাপ পরখ করুন অ্যাপের মাধ্যমে!
বর্তমানে ৪০০-রও বেশি সরকারি রাজনৈতিক অ্যাকাউন্ট রয়েছে শেয়ার চ্যাট প্ল্যাটফর্মে। যেখান থেকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলের প্রচার চালাচ্ছেন রাজনৈতিক নেতারা। বাকি সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মতো শেয়ার চ্যাটেও দিন দিন বেড়ে চলেছে ভিউজ, লাইক , শেয়ার এবং কমেন্টেস। বর্তমানে দেখা গেছে, ৩০ মিলিয়ন ভিউজ রয়েছে বিজেপি গুজরাটের। জনসেনা পার্টির ২৭ মিলিয়ন, কেরালা সিপিআইএমের ২৫ মিলিয়ান, জগমোহন রেড্ডি ২৩ মিলিয়ন, এবং বিজেপি পশ্চিমবঙ্গ ২১ মিলিয়ন।
জনসেনা পার্টির সদস্য বিনোদ ভর্মা বলেন," আমরা প্রতি পোস্টে লক্ষ লক্ষ ভিউয়ার্স এবং ভিডিও প্রতি ৪ লাখ ভিউয়ার্স পেয়েছি। নির্বাচন শুরু হওয়ার আগে গ্রামীণ জনসাধারণের কাছে পৌঁছানোর জন্য শেয়ার চ্যাটের কার্যকারিতা আমাদের ভাবিয়েছিল এবং আঞ্চলিক ভাষায় প্রচারের ক্ষেত্রে এই মাধ্যমকে আমরা বেছে নিই।"
শেয়ার চ্যাট থেকে কোনও মেসেজ বা ভিডিও হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানোর সুবিধা রয়েছে। অধিকাংশ ইউজারের ক্ষেত্রে এই ফিচারটি ব্যবহার করার প্রবণতা দেখা গেছে বলে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছে শেয়ার চ্যাটের আইটি সেল।
আরও পড়ুন:‘ইচ্ছে করে ঠাটিয়ে গণতন্ত্রের থাপ্পড় দিই’
শেয়ারচ্যাটে কোনো স্থানীয় ভিডিও, মিম বা ছবি পোস্ট করলে তাতে অতিরিক্ত ভিউয়ার্স পাওয়ার জন্য পয়সা দিয়ে প্রোমোট করার সুবিধা নেই। যার ফলে যে কটি ভিউয়ার্স পাওয়া যাবে তার সবটাই অর্গানিক। এক কথায় খাঁটি।
নির্বাচন কমিশন লোকসভা নির্বাচনের আগে কড়া নির্দেশ দিয়েছিল সমস্ত সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে। কোনও ভাবেই যেন ভুল কোনও তথ্য ছড়িয়ে না পরে সেদিকে নজর রাখতে বলেছিল কমিশন। যে কারণে নির্বাচনী মাসে শেয়ারচ্যাট ১৩০০০ খবর ও ৫৫,০০০ অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলতে বাধ্য হয়।
পশ্চিমবঙ্গের বিজেপির আইটি সেলের সদস্য উজ্জ্বল পারেখ বলেন, "ইনস্টাগ্রাম সাধারণত শহুরে তরুণ প্রজন্মের জন্য। কিন্তু বিষ্ণুপুর এবং পুরুলিয়ার গ্রামীণ তরুণ সম্প্রদায়ের কাছে পছন্দের সোশাল মিডিয়া অ্যাপ শেয়ার চ্যাট। যেখানে ইংরেজি নয়, রয়েছে বাংলা ভাষার প্রাধান্য"।
Read the full story in English