নাম বদল Facebook-এর। মার্ক জুকারবার্গের কোম্পানির নতুন নাম Meta। সংস্থার নাম বদলের খবর নিজেই ফেসবুকে শেয়ার করেছেন মার্ক জুকারবার্গ। ফেসবুক পোস্টে সংস্থার নাম বদল সংক্রান্ত খবর জানিয়ে জুকারবার্গ লিখেছেন, 'আমরা ইন্টারনেটের পরবর্তী অধ্যায়ের শুরুতে রয়েছি। এই পদক্ষেপ আমাদের কোম্পানির জন্যও পরবর্তী একটি অধ্যায়।' তবে এক্ষেত্রে ভিন্ন মতও রয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, গত কয়েক বছরে ফেসবুকের বিশাল ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড নিয়ে নানা অভিযোগ এসেছে। একাধিক ক্ষেত্রে যা নিয়ে তীব্র অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে জুকারবার্গের সংস্থাকে। শেষমেশ নিয়ন্ত্রক এবং আইন প্রণেতাদের উপর্যুপরি চাপে পড়েই ফেসবুক নাম বদলের পথে হেঁটেছে বলে দাবি তাঁদের।
প্রায় দু'দশক ধরে ফেসবুকের জয়যাত্রা জারি রয়েছে। বিগত বছরগুলিতে ফেসবুক প্ল্যাটফর্ম নিয়ে নানা অভিযোগ সামনে এসেছে। একপক্ষ ফেসবুকের মতো জনপ্রিয় একটি সোশ্যাল মাধ্যমের বিরুদ্ধে দেশের ক্ষমতাসীন শক্তিকে মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে। এছাড়াও ফেসবুকের ব্যবসায়িক কার্যকলাপ নিয়েও বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। তবে সব সময়েই সেই অভিযোগ উড়িয়ে আপন মেজাজে চলেছে ফেসবুক। এই আবহেই এবার নাম বদল সংস্থার। টেক জায়ান্ট ফেসবুকের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁদের এই সিদ্ধান্ত একটি নতুন ব্র্যান্ডের অধীনে তার বিভিন্ন অ্যাপ এবং প্রযুক্তিকে একত্রিত করবে। তবে সংস্থার নাম বদল করতে গিয়ে তার কর্পোরেট কাঠামোয় কোনও পরিবর্তন আনা হচ্ছে না।
মেটাভার্স, একটি শব্দ যা তিন দশক আগে একটি ডিস্টোপিয়ান উপন্যাসে প্রথম উদ্ভাবিত হয়েছিল। মেটাভার্স মানবজীবনে আরও বেশি করে প্রাসঙ্গিক হবে বলে বিশ্বাস জুকারবার্গের। সংস্থার নাম বদল সংক্রান্ত তথ্য সম্পর্কে জুকারবার্গ বলেন, 'গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণে মেটাভার্সের প্রয়োজন হবে। যেমন কাউকে আপনার স্পেসে ঢোকা থেকে আপনি নিজেই তাঁকে ব্লক করতে পারবেন। মেটাভার্স হবে পরবর্তী সবচেয়ে বড় কম্পিউটিং প্ল্যাটফর্ম। এটিকে মোবাইল ইন্টারনেটের উত্তরসূরিও বলা যেতে পারে।' মেটাভার্স মানবজীবনে প্রযুক্তির প্রভাব আরও বেশি মাত্রায় বাড়িয়ে দেবে বলে আশাবাদী জুকেরবার্গ।
নাম বদলের পাশাপাশি জুকারবার্গের সংস্থায় আরও ১০ হাজার কর্মীর চাকরি হবে বলেও জানানো হয়েছে। ২০০৪-এর ৪ ফেব্রুয়ারি পথচলা শুরু ফেসবুকের। ইনস্টাগ্রাম, মেসেঞ্জার, অকুলাস, হোয়াটসঅ্যাপ সবই মাদার কোম্পানি ফেসবুকের অধীনস্থ। সেই ফেসবুকের নামই এখন Meta। সংস্থার কর্ণধার জুকারবার্গের দাবি, মেটাভার্সের মাধ্যমে ভার্চুয়াল দুনিয়ায় যোগাযোগ আরও বাড়বে। আড্ডার মেজাজ হবে আরও বেশি স্বস্তিদায়ক।
আরও পড়ুন- দিওয়ালি উপলক্ষে Amazon নিয়ে এল Finale Days সেল, কী কী ছাড় পাওয়া যাবে?
ইন্টারনেট গেমস থেকে শুরু করে অনলাইন কেনাকাটায় মেটাভার্সই ইন্টারনেটের ভবিষ্যৎ বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। ফেসবুকের এই পরিবর্তন নেটদুনিয়ায় বিপ্লব এনে দেবে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের একাংশের। নাম বদল হলেও ফেসবুকের চারিত্রিক কোনও পরিবর্তন হবে কিনা তা কিন্তু এখনও স্পষ্ট নয়।
Read full story in English
ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসবাংলাএখনটেলিগ্রামে, পড়তেথাকুন