Advertisment

নির্বাচন সংক্রান্ত পোস্টে কাঁচি চালাতে নারাজ ফেসবুক

আবেদনের মূল বিষয় হলো, নির্বাচনের ৪৮ ঘন্টা আগে থেকে সবরকম রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন, ভিডিও, বা মেসেজ ফেসবুকের পক্ষ থেকে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
political ad on facebook

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের একবার সরকারের নজর সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর। বম্বে হাইকোর্টে ফেসবুকে রাজনৈতিক বিষয়বস্তু পোস্টের নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত একটি আবেদন দাখিল করেন পুণের উকিল সাগর সূর্যবংশী। জবাবে এই সপ্তাহের শুরুতে ফেসবুক আদালতকে জানালো, তাদের পক্ষে কোনোভাবেই নিজেদের সাইটের বিষয়বস্তু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।

সূর্যবংশীর আবেদনের মূল বিষয় হলো, নির্বাচনের ৪৮ ঘন্টা আগে থেকে সবরকম রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন, ভিডিও, বা মেসেজ ফেসবুকের পক্ষ থেকে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। প্রধান বিচারপতি নরেশ পাটিল এবং বিচারপতি এন এম জামদারের সামনে পেশ করা তাঁর আবেদনে সূর্যবংশী আর্জি জানিয়েছেন, জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হোক, যাতে নির্বাচনের ৪৮ ঘন্টা আগে থেকে বিজ্ঞাপন, ভিডিও বা মেসেজের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, যে ভোটদান শুরুর আগে প্রচার বন্ধ হওয়ার পরই ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, এমনকি সার্চ ইঞ্জিন গুগল সহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া সাইটও নিয়ন্ত্রণ করা হোক।

Advertisment

আরও পড়ুন: দেশের গণ্ডীর মধ্যে রাখতে হবে ‘হোয়াটসঅ্যাপ পে’র লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য, তবেই মিলবে ছাড়পত্র

ফেসবুকের তরফে সওয়াল করে সিনিয়র কৌঁসুলি দারিউস খাম্বাটা বলেন, ফেসবুক নিজে থেকে এই ধরনের কোনো প্রক্রিয়া করতে পারে না। "আমরা আমাদের সাইটে পোস্ট করা কোনো বিষয়ের ওপর হস্তক্ষেপ করতে পারি না। এতে বাকস্বাধীনতা বিঘ্নিত হয়।" জবাবে দুই বিচারপতির বেঞ্চ বলে, ফেসবুকেরও কিছু দায়িত্ব রয়েছে। বেঞ্চের আরও বক্তব্য, এদেশের বাইরে যদি এই ধরনের নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়, তবে এদেশে নয় কেন। এই বিষয়ে বিস্তারিত এফিডেভিট পেশ করার জন্য দু সপ্তাহ সময় চেয়েছে ফেসবুক।

এর আগের একটি শুনানিতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সওয়াল করে অ্যাডভোকেট প্রদীপ রাজগোপাল আদালতকে জানান, কমিশনের দ্বারা গঠিত একটি কমিটি ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অথবা রিপ্রেজেনটেশন অফ পিপলস অ্যাক্ট-এর ১২৬ ধারায় কিছু বদল আনার পরামর্শ দেয়। এই ধারায় নির্বাচন সংক্রান্ত কোনোরকম জনসমাবেশ বা মিছিল, অথবা নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো বিষয়ের প্রকাশ্য প্রদর্শনের ওপর নির্বাচনের ৪৮ ঘন্টা আগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। কমিটির পরামর্শ, নির্বাচন কমিশনকে আরও ক্ষমতা দেওয়া হোক, যাতে কোনো বেসরকারি সংস্থাকেও এই বিষয়ে নির্দেশ দিতে পারে তারা।

সোমবার বেঞ্চের প্রশ্ন ছিল, কমিশন এই নির্দেশ আইন না বদলেই কেন জারি করতে পারে না।

Read the full story in English

election commission bombay Facebook General Election 2019
Advertisment