Advertisment

ঘুরতে তো যাবেন চাঁদে, কিন্তু মহাকাশে পৌঁছে যদি শরীর খারাপ হয় ?

দীঘা পুরি দার্জিলিং ঘুরতে গেলে যে ওষুধ খাই তা থোড়াই আর মহাকাশে কাজ দেবে। সে চিন্তায় সান দিয়ে ইতিমধ্যে ফ্রান্সের এক কোম্পানি জানিয়েছে তারাই জোগান দেবে আপতকালীন ঔষুধের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
france-ians-759

২০২২ সালে ‘গঙ্গাযান’-এ করে মহাকাশ পাড়ি দিতে পারবেন দেশের নাগরিকরা।

২০২২ সালে মানুষ যাবে চাঁদে হাওয়া বদল করতে। স্বাধীনতা দিবসের দিন লালকেল্লা প্রাঙ্গন থেকে উঁচু গলায় দেশবাসীকে এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে তাঁর আগে থেকেই ইসরো গগনযান প্রকল্প নিয়ে উঠে পড়ে লেগেছিল। শুধু বাকি ছিল পাঁচ কান হওয়া। এখন কথা হল, ঘুরতে তো যাবেন চাঁদে, কিন্তু যদি শরীর খারাপ হয় তখন? দীঘা-পুরী-দার্জিলিং ঘুরতে গেলে যে ওষুধ খান তা থোড়াই আর মহাকাশে কাজ দেবে। এ চিন্তা বিজ্ঞানীরা যে করেন নি এমনটাও নয়। এবং ইতিমধ্যেই ফ্রান্সের এক কোম্পানি জানিয়েছে, তারাই জোগান দেবে আপতকালীন ওষুধের।

Advertisment

পুরুষ হোন বা মহিলা, ২০২২ সালে ‘গগনযান’-এ করে মহাকাশে পাড়ি দিতে পারবেন দেশের নাগরিকরা। ফ্রান্সের এই ওষুধ কোম্পানি এই সকল মহাকাশচারীর স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ, লাইফ সাপোর্ট এবং বাকি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে ভারতকে সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন French National Centre for Space Studies (CNES)-এর এক কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন :আগামি বছর জানুয়ারিতেই চাঁদের পথে পা বাড়াবে ‘চন্দ্রযান-২’

ভারতীয় স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ইসরো) চেয়ারম্যান কে. সিভান ২০২২ সালের মধ্যে ভারতের প্রস্তাবিত মানব স্পেসফ্লাইট ‘গগনযান’ এর জন্য সমস্ত দেশের সঙ্গে একত্রে কাজ করার কথা ঘোষণা করেন। ফরাসি-ভারতীয় কর্মী নিয়ে গ্রুপ গঠন করা হবে। যারা স্বাস্থ্যবিধি ব্যবস্থার ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেবে।

CNES-এর একটি বিবৃতিতে বলা হয়, "এই দল ইতিমধ্যে আলোচনা শুরু করেছে এবং প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে যে মাইক্রোগ্র্যাভিটি অ্যাপ্লিকেশন পরবর্তী ক্ষেত্রে ব্যবহার হবে।" এই প্রকল্পের জন্য ইসরোর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে ফ্রেঞ্চ স্পেস, ও CNES।

তবে এইবারই যে প্রথম এমনটা নয়, ভারত-ফরাসি স্পেস জলবায়ু পর্যবেক্ষণ ক্ষেত্রে, মহাকাশযান মঙ্গল, শুক্র এবং অন্যান্য গ্রহ সন্ধানের ক্ষেত্রেও অবদান রেখেছে।

ISRO Gaganyaan
Advertisment