Moon Landing 50th Anniversary: চাঁদ নিয়ে যুগে যুগে মানুষের সাহিত্য, রোম্যান্সের শেষ নেই। আবার অজানাকে জানার অদম্য ইচ্ছেতে ভর করে সেই চাঁদের পিঠে পৌঁছেও গিয়েছে এই মানুষই। মহাকাশ গবেষণার নতুন দিগন্ত খুলে দেওয়া সেই ঘটনা আজ পঞ্চাশে পা দিল। ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকা দিনটিকে উদযাপন করতে উদ্যোগী হয়েছে গুগল ডুডল। চাঁদে যাওয়া প্রথম তিন মহাকাশচারীর একজন মাইকেল কলিন্স, যাঁর ভাষ্য সহ একটি ভিডিও শেয়ার করেছে গুগল।
"সারা পৃথিবীর বোঝা আমার, নিলের (নিল আর্মস্ট্রং) আর বাজের (এডউইন অলড্রিন) কাঁধে এসে পড়েছিল। সেই প্রথম এত কাছ থেকে চাঁদ দেখছিলাম আমরা। অপরূপ দৃশ্য। সূর্য চাঁদের কাছাকাছি চলে আসছে। চাঁদের পেছন থেকে সোনালি দ্যুতি ছড়িয়ে পড়ছে। পৃথিবীটাকে এত ছোট্ট লাগছিল," বলে চলেছেন কলিন্স।
" width="640" height="360" allowfullscreen="allowfullscreen" data-mce-fragment="1">
১৯৬৯-এর ১৬ জুলাই। কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে মার্কিন মহাকাশযান স্যাটার্ন ভি পাড়ি দিল চাঁদে। রকেটের ভেতর তিন জীবন্ত ইতিহাস - নিল আর্মস্ট্রং, এডউইন 'বাজ' অলড্রিন, এবং মাইকেল কলিন্স। কলিন্স অবশ্য চাঁদের মাটিতে নামলেন না। মাত্র তিনদিনের ব্যবধানে ২০ জুলাই চন্দ্রপৃষ্ঠ ছুঁয়ে ঘুরে বেড়ালেন আর্মস্ট্রং এবং অলড্রিন। দু'জনের মধ্যে প্রথম পা রাখলেন নিল। বললেন, "মানুষের জন্য ছোট্ট একটা ধাপ, মানবসভ্যতার জন্য দৈত্যাকার লাফ।"
চাঁদের মাটিতে পতাকা উড়িয়ে লিখে এলেন, "এখানে পৃথিবী থেকে মানুষ এসে প্রথম পা রাখল। আমরা সমগ্র মানবজাতির শান্তির জন্য এসেছিলাম।" চাঁদে প্রথম পা রেখেছিলেন সেই দু'টি মাত্র মানুষ। কিন্তু তাঁদের পেছন পেছন তারপর চাঁদে হাজির হয়েছেন আরও ৪০ হাজার মানুষ।
পাঁচ দশকে মিসিসিপি-মিসৌরির পাশাপাশি গঙ্গা দিয়েও বয়ে গেছে অনেক জল। মহাকাশ গবেষণায় পিছিয়ে নেই ভারতও। আগামী সোমবার চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পাড়ি দিচ্ছে চন্দ্রযান-২। গত রবিবার রাত ২.১৫ মিনিটে ছাড়ার কথা ছিল চন্দ্রযান-২ এর। যান্ত্রিক কিছু ত্রুটির জন্য উৎক্ষেপণের ৫৬ মিনিট আগে বাতিল হয়ে যায় সেই অভিযান।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, উৎক্ষেপণের ১৬ মিনিট পর মহাকাশের নির্দিষ্ট কক্ষপথে (অর্বিট) পৌঁছে যাবে মহাকাশযানটি। অর্বিটার, বিক্রম নামের একটি ল্যান্ডার এবং রোভার প্রজ্ঞান - এই তিনটি মডেল থাকছে মহাকাশযানটিতে। অর্বিটারটি থাকবে চাঁদের উপরের অংশে। সেখান থেকে বিভিন্ন খনিজের ছবি তুলবে ও ম্যাপিং করা হবে। বিক্রম অর্থাৎ ল্যান্ডারটি চাঁদের ভূমিকম্প এবং তাপমাত্রা সংক্রান্ত বিষয়ে পর্যবেক্ষণ জারি রাখবে। পাশাপাশি, রোভারটি চলমান যানের মাধ্যমে চাঁদের মাটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার চন্দ্র অভিযানে নাম লিখিয়ে ফেলল ইসরো। এর আগে ২০০৮ সালের ২২ অক্টোবর উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল চন্দ্রযান -১।