ভুয়ো কনটেন্ট, তথ্য এবং খবর ছড়ানোর অভিযোগে বেশ কিছু সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলকে বন্ধ করল কেন্দ্র। শনিবার কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর জানিয়েছেন একথা। তিনি আরও বলেছেন, এই অ্যাকউন্টগুলিকে চিহ্নিত করে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে মালিকদের বিরুদ্ধে।
সোশ্য়াল মিডিয়া যেমন ফেসবুক, টুইটার এবং ইউটিউবে আপলোড হওয়ার বহু পোস্ট-ভিডিওতে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য, ভুয়ো তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের নামে একটি ভুয়ো ভিডিও ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রধানমন্ত্রীর উপর হিংসামূলক ভুয়ো ভিডিও এবং হিন্দু মহিলাদের বিরুদ্ধে আপত্তিজনক পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলগুলিতে পোস্ট করা হত।
শনিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী টুইট করে জানিয়েছেন, "ইন্টারনেটকে সুরক্ষিত এবং ভরসাযোগ্য করতে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের টাস্কফোর্স সদা সচেষ্ট। যে সমস্ত হ্যান্ডেলগুলি ভুয়ো, উস্কানিমূলক তথ্য শেয়ার করেছে টুইটার, ইউটিউব, ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামে সেগুলি বন্ধ করা হয়েছে।" মন্ত্রী আরও বলেছেন, ওই সব হ্যান্ডেলের মালিকের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন টেলিগ্রামের সঙ্গে প্রতিযোগিতা, WhatsApp নিয়ে আসছে একগুচ্ছ নয়া ফিচার
উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধেয় একজন জনৈক টুইটার ইউজার মন্ত্রীকে টুইট করে জানান, ডিসেম্বর ২০২০ থেকে একটি হিংসাত্মক কনটেন্ট ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কুরুচিকর সেই ভিডিও যেন সরিয়ে নেওয়া হয়, এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। মন্ত্রী দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেন। বলেন, মন্ত্রকের দায়িত্ব ইন্টারনেটকে সুরক্ষিত এবং ভরসাযোগ্য রাখা। যে কোনও ধরনের কনটেন্ট নিয়ে গভীর ভাবে পদক্ষেপ করবে মন্ত্রক।
সূত্রের খবর, ৭৩টি টুইটার হ্যান্ডেল, ৪টি ইউটিউব কনটেন্ট এবং একটি ইনস্টাগ্রাম গেমকে চিহ্নিত করেছে সরকার। শুক্রবার দিল্লি পুলিশ একটি মামলা দায়ের করেছে একটি বিকৃত ভিডিও নিয়ে। তাতে দেখা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার কমিটির বৈঠকে শিখদের বিরুদ্ধে কথাবার্তা বলা হচ্ছে। ভুয়ো ভিডিও নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছে।