কমবেশি মধ্যবিত্তের বাড়িতে জং ধরা 'চেতক' স্কুটারের আজও দেখা মেলে। ৮০-৯০ এর দশকের নস্টালজিয়ায় মোড়া এই স্কুটার। বাবার পিছনে বসে কোচিং যাওয়া, বাবার বাড়ির ফেরার শব্দ, স্কুটার স্টার্ট দেওয়ার পর সেই চেনা আওয়াজ ও খুব পরিচিত ধোঁয়ার গন্ধ, এই সমস্ত নস্টালজিয়া হারিয়ে যেতে বসেছে। ঝাঁ চকচকে স্কুটি ও বাইকের বাজারে 'চেতক' হয়ে উঠেছিল কারোর কাছে অযান্ত্রিক তো কারোর কাছে "ব্যাক ডেটেড"। কিন্তু মন্দার বাজারে বাজাজ ফিরে পেতে চায় সেই 'চেতকে'র জনপ্রিয়তা। সুতরাং ১৪ বছর পর বাজারে ফিরে এল বাজাজের 'চেতক'।
বলা বাহুল্য, নতুন অবতারে ই-স্কুটার রূপে চেতকের পুনর্জন্ম। যদিও মূল ডিজাইন সেই পুরানো চেতকেরই। তবে হালের ট্রেন্ডের জোয়ারে গা ভাসিয়ে চেহারার সামান্য বদল আনা হয়েছে। নতুন চেতক অবশ্য ব্যাটারি চালিত, তাই সেই স্টার্ট দেওয়ার আওয়াজ আর হবে না।
আরও পড়ুন: সাধ্যের দামে বাজারে নতুন স্কুটার, বাঁচবে তেলও
কী কী রয়েছে এই স্কুটারে?
স্কুটারে রয়েছে মাল্টি স্পোক অ্যালয় হুইল বেস। আইপি ৬৭-রেটেড লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির জোরে ছুটবে 'নিউ লুক' চেতক। বাড়িতে থাকা পাঁচ এএমপি-এর চার্জিং পয়েন্ট থেকেই স্কুটারের ব্যাটারি চার্জ করা যাবে বলে জানিয়েছে বাজাজ। লাইটের ক্ষেত্রে প্রত্যেকটাই এলইডি।
নতুন বছরেই গ্রাহকরা হাতে পাবেন নস্টালজিয়ায় মোড়া নতুন চেতক। তবে দাম কত হবে তা নিয়ে রয়েছে নানা মুনির নানা মত। সাধারণত ইলেকট্রিক বাইকের দাম কম হয়, কিন্তু ফিচারের ভারে দাম বাড়ার সম্ভাবনা প্রবল, তার ওপর আবার পুরোনো ঐতিহ্য বহন করবে এই বাইক। তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বাজার চলতি স্পোর্টি লুকের ইলেকট্রিক স্কুটারকে টক্কর দেবে বাজাজ চেতক।