Leak password detection tool: আপনার অ্যাকাউন্ট কি আদৌ সুরক্ষিত? নিমেষেই জানুন পাসওয়ার্ড হ্যাকারদের কাছে রয়েছে কিনা!
ডিজিটাল যুগে পাসওয়ার্ড লিক এখন আর বিরল ঘটনা নয়। প্রায়শই হ্যাকারদের আক্রমণে বড় বড় ওয়েবসাইট ও অ্যাপে ডেটা ব্রিচ হয়, যেখানে ব্যবহারকারীর ইমেল, পাসওয়ার্ড থেকে শুরু করে নানা সংবেদনশীল তথ্য ফাঁস হয়ে যায়। তাই প্রশ্ন উঠছে—আপনার অ্যাকাউন্ট কি আদৌ সুরক্ষিত রয়েছে? ভয়ের কিছু নেই, কারণ এখন এমন বেশ কয়েকটি টুলস ও অ্যাপ রয়েছে যেগুলোর সাহায্যে আপনি নিজেই চেক করতে পারবেন আপনার পাসওয়ার্ড লিক হয়েছে কিনা।
কিভাবে জানবেন আপনার পাসওয়ার্ড লিক হয়েছে কিনা?
Have I Been Pwned (HIBP):
এই জনপ্রিয় ওয়েবসাইটে গিয়ে (https://haveibeenpwned.com/) আপনার ইমেল আইডি বা পাসওয়ার্ড দিয়ে চেক করতে পারেন। এটি জানাবে আপনি কোনও ডেটা ব্রিচের শিকার হয়েছেন কিনা।
HIBP-এর 'Pwned Passwords' ফিচারে সরাসরি পাসওয়ার্ড দিয়ে চেক করলেও প্রাইভেসি পুরোপুরি সুরক্ষিত থাকে।
ব্রাউজার ও ডিভাইসের ইনবিল্ট টুলস:
Google Password Checkup:
Google Chrome বা Android ব্যবহার করলে আপনার Google অ্যাকাউন্টে গিয়ে Password Manager > Security থেকে দেখতে পারবেন আপনার কোনও পাসওয়ার্ড লিক হয়েছে কিনা।
Apple iCloud Keychain:
iPhone বা Mac ব্যবহারকারীদের জন্য iCloud Keychain নিজেই অ্যালার্ট দেয় যদি কোনও পাসওয়ার্ড ব্রীচে পাওয়া যায়।
Firefox/Edge:
এই ব্রাউজারগুলোতেও ইনবিল্ট পাসওয়ার্ড চেকার রয়েছে, যা ডেটা ব্রিচ হলে অ্যালার্ট দেয়।
বিশ্বস্ত পাসওয়ার্ড ম্যানেজার সার্ভিস:
LastPass, 1Password, Bitwarden, Keeper ইত্যাদি অ্যাপগুলিতে ডেটা ব্রিচ মনিটরিং সিস্টেম থাকে। আপনার সেভ করা পাসওয়ার্ড কোনও ব্রীচে থাকলে তারা জানিয়ে দেয় ও নতুন, জটিল পাসওয়ার্ড সাজেস্ট করে।
ডার্ক ওয়েব মনিটরিং সার্ভিস:
Norton, Avast, F-Secure-এর মতো সাইবার সিকিউরিটি ব্র্যান্ডগুলির ডার্ক ওয়েব স্ক্যানিং টুলস আপনার তথ্য ডার্ক ওয়েবে পাওয়া গেলে আপনাকে সতর্ক করে।
আপনার পাসওয়ার্ড যদি লিক হয়ে যায়, কী করবেন?
তৎক্ষণাৎ পাসওয়ার্ড বদলান: ফাঁস হওয়া অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড দ্রুত পরিবর্তন করুন।
একই পাসওয়ার্ড অন্যত্র ব্যবহার করলে সেগুলিও বদলান।
Two-Factor Authentication (2FA) চালু করুন।
লগইন অ্যালার্ট বা সন্দেহজনক কার্যকলাপ মনিটর করুন।
ফিশিং মেইল ও লিংক থেকে সতর্ক থাকুন।
সতর্ক থাকাই বাঁচার উপায়
ডিজিটাল ঝুঁকি পুরোপুরি দূর করা সম্ভব নয়, কিন্তু সচেতনতা এবং আধুনিক টুলের সাহায্যে আপনি নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারেন। নিয়মিত পাসওয়ার্ড চেক, শক্তিশালী ও আলাদা পাসওয়ার্ড ব্যবহার এবং 2FA চালু রাখাই আপনার সাইবার সুরক্ষার প্রধান হাতিয়ার। আপনার তথ্য আপনার দায়িত্ব—সতর্ক থাকুন, নিরাপদ থাকুন।