অপরাধীদের চিনতে ভারতের রেলওয়ের বড় পদক্ষেপ। রেলের তরফে জানান হয়েছে, স্টেশন রাখা হবে ফেসিয়াল রেকগনিশন (মুখ চেনার প্রযুক্তি)। ২০২০ শেষেই প্রতিটি রেল স্টেশন ইনস্টল করা হবে নতুন প্রযুক্তির যন্ত্র। তবে, মঙ্গলবার ডিজিটাল প্রচারকারীরা কঠোর আইন না থাকার কারণে মানুষের গোপনীয়তা লঙ্ঘন হতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন।
টেক হাব বেঙ্গালুরুর স্টেশনে প্রথম পর্যবেক্ষন করা হবে। আর্টিফেসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে ফেসিয়াল রেকগনিশন নিত্যদিন প্রায় দেড় মিলিয়ন মুখকে স্ক্যান করবে। পরবর্তী পর্যায়ে পুলিশের ডেটাবেসে রাখা অপরাধীদের মুখের সঙ্গে হুবহু মিলছে কিনা তা যাচাই করা হবে।
আরও পড়ুন: কীভাবে অনলাইন-অফলাইনে ফাস্ট্যাগের ব্যালেন্স জানতে পারবেন? জেনে নিন
রেলওয়ের এক প্রবীণ কর্মকর্তা থমসন জানিয়েছেন " যতদিন যাবে ভারতীয় রেলওয়ে ভার্চুয়াল বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে উঠবে। আগামীদিনে সমস্ত কার্যাবলী সুরক্ষিত রাখা সম্ভব হবে"।
অপরাধীদের ট্র্যাকিং থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীদের গণনা পর্যন্ত সমস্ত ক্ষেত্রে ফেসিয়াল রেকগনিশনের ব্যবহারকে জনপ্রিয় করেছে। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স সফ্টওয়্যারটি ব্যবহার করে অনেকেই মন্তব্য করেছেন, এটি সুরক্ষা প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু ওয়াকিবহালরা মনে করেন, এটি মানুষের গোপনীয়তা লঙ্ঘন করছে।
আরও পড়ুন: নদীর নিচে লুকিয়ে ৭ মিটারের ৯০ কেজি ওজনের অ্যানাকোন্ডা, দেখুন ভিডিও
দেশব্যাপী ফেসিয়াল রিকগনিশন সিস্টেম ইনস্টল করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত। কিন্তু 'ডেটা' সুরক্ষা আইনের অভাবে, বিভিন্ন মহলে এই উন্নত প্রযুক্তি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল, প্রতিটি ব্যক্তির গোপনীয়তা বজায় রাখা মৌলিক অধিকার, কিন্তু বর্তমানে সংসদে পাস হওয়া ডেটা সুরক্ষা বিল অনুযায়ী টেক সংস্থাগুলি থেকে ব্যবহারকারীদের ডেটা চাইতে পারে সরকার। তবে এই বিলের বিরোধিতা করেছে মানবাধিকার গোষ্ঠী।
আরও পড়ুন: যেমন খুশি তেমন সাজো প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরষ্কার পেলেন “রানু মন্ডল”!
ডিজিটাল রাইটস গ্রুপের এশিয়া পলিসির পরিচালক রমন জিত সিং চিমা রেলপথের এই পরিকল্পনাটিকে 'বিপজ্জনক' বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, "যে যাত্রীদের ডেটা থার্ড পার্টি ব্যবহার করবে, তারা যে ফাঁস করবে না সেই তথ্য সেটা কে বলেতে পারে? আপনি কীভাবে জানবেন যে তারা ডেটা ফাঁস করছে না? আপনি কীভাবে জানবেন যে তারা এটিকে নিরাপদে রাখছেন এবং এতে অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে না?।"
Read the full story in English