/indian-express-bangla/media/media_files/2025/06/23/isro-spadex-2-mission-2025-06-23-10-00-01.jpg)
মহাকাশের বুক চিড়ে বিরাট দাপট দেখাতে তৈরি ভারত, ইতিহাস গড়ার দ্বারপ্রান্তে ISRO
ISRO Mission: ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা Indian Space Research Organization (ISRO) আজ বিশ্বের অন্যতম সেরা মহাকাশ শক্তি। খরচে সাশ্রয়ী কিন্তু প্রযুক্তিগত দিক থেকে এগিয়ে থাকা এই সংস্থা ইতিমধ্যেই একাধিক বিশ্বরেকর্ড গড়েছে। ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত ISRO ধীরে ধীরে মহাকাশ গবেষণায় এমন সব সাফল্য দেখিয়েছে, যা আজ আমেরিকা, রাশিয়া বা ইউরোপকেও তাক লাগিয়ে দিয়েছে।
ISRO-এর সাফল্যের মূল কারণ তাদের বিশেষ কৌশল—কম খরচে মহাকাশ অভিযান। প্রতিটি পরীক্ষা হয় অত্যন্ত সাবধানে, ফলে ব্যর্থতা কম এবং খরচও সীমিত থাকে। উদাহরণস্বরূপ, মাত্র ২৮ মাসে ক্রায়োজেনিক স্টেজের সফল উড়ান সম্ভব করেছিল ইসরো, যা বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক দ্রুত ও সাশ্রয়ী।
আরও পড়ুন- বাজারে আইফোন ১৭ সিরিজ, টেক্কা দিতে পারে এই ৫ সস্তার অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন!
ISRO-এর ৯টি বড় বিশ্বরেকর্ড
ভারতের মহাকাশ সংস্থা ইতিমধ্যেই একাধিক বিশ্বরেকর্ড করেছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য— ২০০৮ সালে চন্দ্রযান-১ – প্রথমবার চাঁদে পাঠানো ভারতীয় মহাকাশযান। এটাই চাঁদে জলের অণুর অস্তিত্ব খুঁজে বের করেছে। ২০১৩-১৪: মঙ্গলযান (Mars Orbiter Mission) – মাত্র এক চেষ্টাতেই মঙ্গলে পৌঁছনো। বিশ্বের আর কোনও দেশ এই কৃতিত্ব অর্জন করতে পারেনি। ২০১৭: PSLV-C37 – একসঙ্গে ১০৪টি স্যাটেলাইট মহাকাশে উৎক্ষেপণ করে বিশ্বরেকর্ড। ২০২৩: চন্দ্রযান-৩ – চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণ, ভারত প্রথম দেশ।
আরও পড়ুন- দেশজুড়ে 4G চালুর পরই রিচার্জে 'বিস্ফোরণ', সস্তার প্ল্যানে আলোড়ণ ফেলল BSNL
একশোর বেশি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ – তুলনামূলক কম খরচে একাধিক দেশকে সেবা প্রদান। সাশ্রয়ী লঞ্চ কস্ট – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা রাশিয়ার তুলনায় অনেক কম টাকায় উৎক্ষেপণ। তিন দশক ধরে সফল PSLV মিশন – বিশ্বে নির্ভরযোগ্য রকেট হিসেবে পরিচিত। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক উৎক্ষেপণ – ISRO এখন বিশ্বের বহু দেশের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করছে। আত্মনির্ভর ক্রায়োজেনিক প্রযুক্তি – বিদেশি নির্ভরতা ছাড়াই সফল উৎক্ষেপণ।
আরও পড়ুন- ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল ম্যাচ: এয়ারটেল, জিও এবং ভোডাফোন ব্যবহারকারীরা বিনামূল্যে কীভাবে দেখবেন?
ISRO-এর স্বপ্ন আরও বড়। সংস্থার বর্তমান চেয়ারম্যান সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন—২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদের মাটিতে ভারতীয় মহাকাশচারী পৌঁছবে। ইতিমধ্যেই 'গগনযান' প্রকল্পে মহাকাশচারীদের পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। তার পরবর্তী ধাপ হবে চাঁদে পদার্পণ। ভারতের প্রযুক্তি এখন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় শীর্ষে রয়েছে। কম খরচে উৎক্ষেপণের কারণে বিদেশি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণেও ভারতের চাহিদা বাড়ছে। মহাকাশ গবেষণায় ভারতের নতুন প্রজন্ম আরও অনুপ্রাণিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন- GOOGLE-এর পুরো নাম কী? জানেন না ৯৯% মানুষ'ই
ISRO এখন আর শুধু ভারতের নয়, বিশ্বের কাছে এক অনন্য উদাহরণ। মহাকাশ দৌড়ে যেখানে আমেরিকা, রাশিয়া, ইউরোপ আর চীন এগিয়ে, সেখানে ভারত নিজের জায়গা তৈরি করেছে দক্ষতা আর খরচ বাঁচানোর কৌশল দিয়ে। যদি পরিকল্পনা মতো এগোনো যায়, তাহলে ২০৪০ সালে ভারতের নাম লেখা থাকবে মানব ইতিহাসের আরেকটি সোনালি অধ্যায়ে—চাঁদের মাটিতে ভারতীয় মহাকাশচারীর পদার্পণের কারণে।