ভোট দিতে ভোটার কার্ড অপরিহার্য নয়। কিন্তু ভোটার তালিকায় নাম থাকা আবশ্যিক। কার্ড হাতে থাকলেও তালিকায় নাম ভ্যানিস হলে ভোট দিতে পারবেন না আপনি। সাধারণত ভোটের মুখে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বাড়ি গিয়ে বুথের স্লিপ পৌঁছে দিয়ে আসে। তখনই জানা যায় তালিকায় নাম আছে কি না । আর যদি তালিকায় নাম থাকে, তাহলে নির্দিষ্ট পরিচয়পত্র নিয়ে আপনি ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবেন এবং আপনার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
অনেকেই মনে করেন, আগের বার ভোট দিয়েছিলাম, সুতরাং বারও তালিকায় নাম থাকবে। কিন্তু বহুক্ষেত্রে এই চিন্তাধারা হতাশ করে শেষ পর্যন্ত। তার চেয়ে বরং আগে ভাগেই জেনে নিন ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে কি না আপনার। অ্যান্ড্রয়েড বা আইওএস থেকে বিনামূল্যে ডাউনলোড করুন 'মিসিং ভোটার অ্যাপ'। তা যদি সম্ভব না হয়, অবশ্যই ৮০৯৯ ৬৮৩ ৬৮৩ (টোল ফ্রি) নম্বরে ফোন বা এসএমএস করে জানাতে পারেন আপনার অভিযোগ।
আরও পড়ুন: ভোট দিতে গিয়ে বেঠিক কিছু দেখলে ভিডিও বা ছবি তুলে জানিয়ে দিন নির্বাচন কমিশনকে
কী ভাবে ব্যবহার করবেন 'মিসিং ভোটার অ্যাপ'?
প্রথমে আপনার ফোন নম্বর দিয়ে রেজিস্টার করুন। ফোনে আসা ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ডটি যথোপযুক্ত স্থানে টাইপ করলে একটি নতুন পেজ খুলে যাবে। এখানে রেজিস্ট্রেশনের জন্য আপনাকে নাম, পাসওয়ার্ড, ফোন নম্বর, রাজ্য, লোকসভা কেন্দ্রের নাম ও বিধানসভার নাম নথিভুক্ত করতে হবে। অ্যাপ খুলে আপনার পাসওয়ার্ড ও নম্বর দিলে খুলে যাবে ড্যাশবোর্ড। এখানে আপনি পাবেন ১) অনুচ্ছেদ ২) ভোটার আইডির জন্য আবেদন, ৩) পোলিং বুথ অনুযায়ী নাম না থাকা ভোটার ৪) রাস্তার নাম অনুযায়ী নাম না থাকা ভোটার ৫) আবেদনের বর্তমান অবস্থা
৬) ভোটার আইডির জন্য অনুসন্ধান ৭) নির্বাচন কমিশনের সাইট থেকে ভোটার আইডি খোঁজা ৮) রোজগার, ৯) দল ১০) দল নেতা ১১) সরাসরি চ্যাট করার জায়গা সহ রয়েছে কিছু অপশন। এই অপশন গুলো থেকেই জেনে নিতে পারবেন ভোটার তালিকায় আপনার নাম আছে কি না।
আরও পড়ুন: মিশন শক্তি: ‘‘মহাকাশ বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে কি মোদীর ঘোষণা করা ঠিক হয়নি?’’
সূত্রের খবর, দিল্লীর জামিয়া নগরে বসবাসরত ২১ বছরের মহম্মদ আনাসের ভোটার আইডি ছিল না। মিসিং ভোটার অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে তিনি তালিকায় নথিভুক্ত করে নিজের নাম। এই বছরের গোড়ার দিকে মিসিং ভোটারস অ্যাপ্লিকেশন চালু হওয়ার পর, হাজার হাজার যোগ্য ভোটারকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
হায়দরাবাদের খালিদ সাইফুল্লাহের RayLabs Technologies অ্যাপটি তৈরি করেছে। খালিদ গত বছরের কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের সময় এই অ্যাপের ওপর কাজ শুরু করেছিলেন। তিনি বলেন, "প্রায় ১২ লাখ নতুন ভোটার তিন সপ্তাহের মধ্যে অ্যাপের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত হয়েছেন।"