Bank Deposit Insurance Amount: আগেকার দিনে মানুষজন বেশিরভাগ টাকা বাড়িতে রাখতেন এবং এই কারণেই চুরির ঘটনা ছিল খুব সাধারণ একটা ঘটন। চুরি এখনও হয়, তবে তার বেশিরভাগই হয় ডিজিট্যাল ফ্রড। মানুষ এখন আগের থেকে অনেক বেশি ব্যাঙ্কের উপর নির্ভরশীল। এখনকার দিনে মানুষ কম-বেশি বেশিরভাগ টাকায় ব্যাঙ্কে গচ্ছিত করেন। তা সেই ফিক্সড ডিপোসিট হোক, বা টার্ম ডিপোসিট যাই হোক না কেন। অনেকে আবার সেভিংস অ্যাকাউন্টেও টাকা গচ্ছিত রাখেন। যদিও সেই টাকার উপর সুদের পরিমাণ কম।
কিন্তু অনেকবার দেখা গেছে যে ব্যাংকগুলি দেনায় ডুবে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করেছে। বা অনেক ক্ষেত্রে অনেক ব্যাঙ্ক বন্ধ হয়ে গেছে। আর সেই সকল ব্যাঙ্কে যাদের অ্যাকাউন্ট ছিল সেই সব সঞ্চয়ের টাকাও হারাতে হয়েছে মানুষকে। যদি সত্যিই কোনও ব্যাংক হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায় বা দেউলিয়া বলে নিজেকে ঘোষণা করে এবং যদি সেই ব্যাঙ্কের আপনার জমানো কষ্টের টাকা থেকে থাকে তাহলে আদৌ কী আপনি ওই টাকা আর কোন ভাবে ফেরত পাবেন? বা সেই টাকার উপর আদৌ কী কোন বিমা করা আছে?
দেশের ৯৯% মানুষ জানেন না যে ব্যাংকে জমা করা টাকা কতটা সুরক্ষিত? আদৌ কী আপনার জমা টাকার উপর কোন বিমা করা থাকে? আজকের এই প্রতিবেদনে জানুন ব্যাংকে জমা থাকা টাকার উপর আপনি কত টাকা বীমা পাবেন? যদি এই বিষয় সম্পর্কে আপনি নাও জেনে জেনে থাকেন তাহলে চলুন এই প্রতিবেদনে জেনে নেওয়া যাক বিশদে।
প্রথমেই আপনাদের জানাই, কোনও কারণে ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেলে ব্যাংকে জমা টাকার উপর বীমা সম্পর্কে। যে কোন ব্যাঙ্কে (RBI অনুমোদিত) আপনার সঞ্চয় করা টাকার উপর রয়েছে বিমার সুবিধা। আপনি এই বীমার টাকা ডিপোজিটরস ইন্স্যুরেন্স ক্রেডিট গ্যারান্টি কর্পোরেশন অর্থাৎ DICGC থেকে পাবেন।
সাধারণত কোন কারণে ব্যাঙ্ক বন্ধ হয়ে গেলে বা নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করলে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বীমা পান গ্রাহকরা। তার মানে আপনার ব্যাংকে ১০ লক্ষ টাকা জমা থাকলেও আপনি কিন্তু বিমা বাবদ ৫ লক্ষ টাকাই পাবেন। তবে, এমন নয় যে বাকি টাকা আপনি একেবারেই পাবেন না। কিন্তু যদি আমরা বীমার কথা বলি, তাহলে তা হবে মাত্র ৫ লক্ষ টাকার।
যদি ব্যাংকে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ৫ লক্ষ টাকার বেশি হয়। তাই এটা নির্ভর করে ব্যাংকের মোট সম্পত্তির উপর। আপনাদের জানিয়ে রাখি যে, সরকার DICGC থেকে প্রাপ্ত বীমার পরিমাণ ৫ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ লক্ষ টাকা করার কথা বিবেচনা করছে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে সরকার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।