/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/25/common-krait-2025-08-25-12-36-39.jpg)
বর্ষাকাল এলেই সাপের উপদ্রব বেড়ে যায়।
Silent killer snake: বর্ষাকাল এলেই সাপের উপদ্রব বেড়ে যায়। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে বাড়িঘর ও বাগানে সাপের উপস্থিতি এবং সাপের কামড়ের ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পায়। ভারতে ৩০০-রও বেশি প্রজাতির সাপ পাওয়া যায়, তবে এর মধ্যে প্রায় ৬০ টি ভয়ঙ্কর বিষাক্ত। এই তালিকায় রয়েছে কোবরা, ক্রেইট, রাসেল ভাইপারসহ একাধিক প্রাণঘাতী সাপ। এই সব সাপ কামড়ালে সময়মতো চিকিৎসা না করালে মুহূর্তেই মৃত্যুর ঝুঁকি তৈরি হয়।
আরও পড়ুন- E20 পেট্রোলে মাইলেজ কমবে? গাড়ির জ্বালানি নিয়ে বড় রিপোর্ট
এই মারাত্মক সাপগুলির মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হল কমন ক্রেইট বা কালাচ। গোপনে চলাফেরা ও অতি বিষাক্ত দংশনের জন্য এটি পরিচিত। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই সাপটি কেউটের থেকেও বেশি বিপজ্জনক। রাতেই সাধারণ ভাবে এই বিষধর সাপের ঘোরাফেরা বাড়ে। তাই এটিকে অনেকে "নীরব ঘাতক" বলে অভিহিত করেন।
চকচকে কালো গায়ে সাদা বা হলুদ ডোরা দাগ এর প্রধান বৈশিষ্ট্য। সরু ও লম্বা দেহের কারণে এটি দ্রুত এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতেও সক্ষম সাপটি। সাধারণত মাঠ, বন, গ্রামাঞ্চল থেকে শুরু করে বাড়ির আশেপাশেও এদের দেখা মেলে। বর্ষাকালে শুকনো জায়গার খোঁজে প্রায়ই এরা ঘরে ঢুকে পড়ে, যা মানুষের জন্য আরও বিপদ ডেকে আনে।
আরও পড়ুন- ফোন ধরেই কেন 'হ্যালো' বলি? এর পেছনের গল্পটি কিন্তু বেশ আকর্ষণীয়, জানেন না ৯৫ শতাংশ মানুষই!
কালাচের বিষ নিউরোটক্সিক, অর্থাৎ এটি সরাসরি স্নায়ুতন্ত্রে আঘাত হানে। কামড়ের পর প্রথমে অসাড়তা, তারপর পেশীর দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট এবং শেষপর্যন্ত পক্ষাঘাত দেখা দেয়। ভয়ঙ্কর বিষয় হলো, এই সাপের দাঁত অত্যন্ত ছোট ও সূঁচের মতো ধারালো। ফলে কামড়ের সময় প্রায়ই মানুষ কিছুই টের পান না, আর যখন বুঝতে পারেন তখন অনেক দেরি হয়ে যায়।
আরও পড়ুন- ২৫২ জিবি ডেটা! আনলিমিটেড কলিং...! পুজোর আগে বিরাট চমকে বাজার কাঁপিয়ে দিল jio
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘুমন্ত অবস্থায় মানুষ প্রায়শই এদের শিকার হয়, কারণ এরা সহজেই বিছানা কিংবা কাপড়ের ভেতরে লুকিয়ে থাকে। তাই বর্ষাকালে সাপ থেকে বাঁচতে বাড়ি ও আশপাশ পরিষ্কার রাখা এবং সতর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি।