/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/25/fuel-efficiency-2025-08-25-12-24-44.jpg)
E20 পেট্রোলে মাইলেজ কমবে? গাড়ির জ্বালানি নিয়ে বড় রিপোর্ট
E20 Petrol Mileage Impact: ভারত সরকার ধীরে ধীরে যানবাহনে ২০% ইথানল মিশ্রিত পেট্রোল (E20) চালু করছে। এর উদ্দেশ্য হল, আমদানিকৃত তেলের ওপর নির্ভরতা কমানো, গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাস করা এবং কৃষকদের থেকে উৎপাদিত ইথানলের ব্যবহার বাড়ানো। তবে প্রশ্ন উঠছে, এই জ্বালানি কি সত্যিই গাড়ির মাইলেজ কমাতে পারে?
বিশেষজ্ঞদের ধারণা
আরও পড়ুন- গগনযান মিশনের প্যারাসুট পরীক্ষায় সফল, ইসরোর সাফল্যে গর্বে বুক ভরে উঠবে
অটোমোবাইল বিশেষজ্ঞদের মতে, ইথানলের ক্যালোরিফিক মান পেট্রোলের চেয়ে কম। ফলে ২০% ইথানল মেশানো হলে, গাড়ির প্রতিলিটার জ্বালানিতে উৎপন্ন শক্তি কিছুটা কম হয়। এর ফলে মাইলেজ প্রায় ২% থেকে ৫% কমে যেতে পারে। নতুন গাড়িগুলি ধীরে ধীরে E20-Compatible Engine দিয়ে তৈরি হচ্ছে।
আরও পড়ুন- ২৫২ জিবি ডেটা! আনলিমিটেড কলিং...! পুজোর আগে বিরাট চমকে বাজার কাঁপিয়ে দিল jio
তবে পুরোনো গাড়িতে সমস্যা হতে পারে। যেমন– গ্যাসকেট ক্ষতি, রাবার পাইপ বা হোস নষ্ট হওয়া, দীর্ঘমেয়াদে ইঞ্জিনের ক্ষয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব প্রভাব তাৎক্ষণিকভাবে দেখা যাবে না, বরং দীর্ঘ ব্যবহারে প্রকাশ পেতে পারে। তেল মন্ত্রণালয়ের দাবি, সোশ্যাল মিডিয়ায় যে প্রচার হচ্ছে, তা অতিরঞ্জিত। E10 সামঞ্জস্যপূর্ণ গাড়িতেও মাইলেজ কমার হার খুবই কম। অনেক কোম্পানি ২০০৯ সাল থেকেই E20-Compatible Vehicles বানাচ্ছে। সরকারের মতে, E20-এর জন্য টিউন করা গাড়ি শুধু ভালো পারফরম্যান্সই দেয় না। বরং শহরের ড্রাইভিং কন্ডিশনে ভালো এক্সেলারেশনও দেয়। ইথানলের উচ্চ বাষ্পীভবন তাপ, ইঞ্জিনকে ঠান্ডা রাখে এবং গাড়ির ভলিউমেট্রিক এফিসিয়েন্সি (volumetric efficiency) বাড়ায়।
আরও পড়ুন- Ola-এর বড় ধামাকা! স্পোর্টি লুকের সঙ্গে অবিশ্বাস্য মাইলেজ, প্রতি কিমি খরচ শুনে শোরুমে ছুটবেন
সরকারের রিপোর্ট অনুযায়ী, E10-এর জন্য ডিজাইন করা ও E20-ক্যালিব্রেটেড গাড়ি মাইলেজ কমায় মাত্র ১% থেকে ২%।
আর E20-এর জন্য ডিজাইন নয় গাড়ি মাইলেজ হ্রাস করতে পারে ৩% থেকে ৬%। অর্থাৎ, সঠিকভাবে টিউন করা ইঞ্জিনে বড় ক্ষতি হবে না। সবচেয়ে বড় কথা E20 গুরুত্বপূর্ণ কারণ, তা ভারতের জ্বালানি আমদানি খরচ কমায়। কৃষকদের উৎপাদিত আখ ও ভুট্টা থেকে ইথানল উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। কার্বন নির্গমন হ্রাস করে পরিবেশ রক্ষা করে। জ্বালানি নিরাপত্তায় স্বনির্ভর হওয়ার সুযোগ এনে দেয়।
আরও পড়ুন- হাত বাড়ালেই আইফোন! ১৭-র সিরিজ ভারতে, ক্রেতাদের মধ্যে তুমুল উন্মাদনা
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ভবিষ্যতে ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতজুড়ে পেট্রোল পাম্পে E20 Fuel পাওয়া যাবে। নতুন গাড়িগুলি ধীরে ধীরে ই২০ কমপ্যাটিবেল টেকনোলজি (E20 Compatible Technology) নিয়ে আসবে। পুরোনো গাড়ির মালিকদের জন্য হয়তো ইঞ্জিন মডিফিকেশন কিটস (engine modification kits) চালু হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, E20 পেট্রোল আসলে ভারতের জ্বালানি খাতে গেম চেঞ্জার হতে পারে। যদিও প্রাথমিকভাবে কিছু গাড়িতে মাইলেজ সামান্য কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু, পরিবেশ, কৃষি অর্থনীতি এবং দেশের তেল আমদানি হ্রাসে এর সুফল অনেক বেশি। তাই আগামী দিনে, E20-Compatible Vehicles-ই হয়ে উঠবে ভারতীয় সড়কের ভবিষ্যৎ।