মোবাইল নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর সংস্থা বদলের প্রক্রিয়া আরও দ্রুততার সঙ্গে করা যাবে আজ থেকেই, এমনটাই জানিয়েছে টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (ট্রাই)। একটি সার্কলের মধ্যে প্রতি পোর্ট আউট অনুরোধ তিন দিনের মধ্যে মেটাতে হবে সংশ্লিষ্ট টেলিকম সংস্থাকে। আর এক সার্কল থেকে অন্য সার্কলে নম্বর পোর্ট করার ক্ষেত্রে তা করতে হবে পাঁচ দিনের মধ্যে। আগে এই কাজটি করতে সময় লাগত প্রায় ১৫ দিন।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ঃ
মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি কী?
বর্তমানে গ্রাহকরা যে টেলিকম অপারেটর ব্যবহার করেন, সেই অপারেটরের সার্ভিস যদি কোনও গ্রাহকের পছন্দ না হয়, বা অন্য কোনও কারণে তাঁরা বিকল্প অপারেটরের সার্কেলে নিজেদের নম্বর না বদলেই অপারেটর বদল করতে পারবেন। অন্য অপারেটরের সঙ্গে সেই একই নাম ও নম্বরের দ্বারাই সংযুক্ত হবেন গ্রাহকেরা।
আরও পড়ুন: আনলিমিটেড সুবিধার সঙ্গে কোন নেটওয়ার্কে খরচ কম, এয়ারটেল, ভোডাফোন নাকি জিও?
অন্য নেটওয়ার্কে পোর্ট করতে গেলে কতদিন সময় লাগে ?
ট্রাইয়ের নতুন নির্দেশিকা অনুসারে আগের থেকে আরও সহজতর করে তোলা হয়েছে এই মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি প্রক্রিয়া। আগে এক অপারেটর থেকে অন্য অপারেটরের নিদির্ষ্ট সার্কেলের যেতে যেখানে সময় লাগত প্রায় ১৫ দিনের মতো। সেখানে এখন সময় লাগবে তিন থেকে পাঁচ দিন। মঙ্গলবার একটি সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি জারি করে ট্রাইয়ের তরফে বলা হয়, আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে এক অপারেটর সার্কেলের মধ্যে প্রতি পোর্ট আউট অনুরোধ তিনটি দিনের মধ্যে মেটাতে হবে সংশ্লিষ্ট টেলিকম সংস্থাকে। আর এক সার্কল থেকে অন্য সার্কলে নম্বর পোর্ট করার ক্ষেত্রে তা করতে হবে পাঁচ দিনের মধ্যে। তবে জম্মু-কাশ্মীর, আসাম, উত্তর-পূর্ব ভারতের ক্ষেত্রে ১৫ দিন সময় লাগবে নম্বর পোর্ট করতে।
কীভাবে নম্বর পোর্ট করবেন?
* অন্য অপারেটরে পোর্ট করার ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম যা প্রয়োজন তা হল ইউনিক পোর্টিং কোড বা ইউপিসি।
* এই ইউপিসি জেনারেট করতে হলে প্রথমে ‘PORT’ space এবং নিজের দশ অঙ্কের মোবাইল নম্বর দিয়ে 1900 নম্বরে একটি এসএমএস করতে হবে।
* এরপরেই গ্রাহক এসএমএসের মাধ্যমে একটি ইউপিসি কোড পাবেন। যেটি সব সার্কেলের ক্ষেত্রে বৈধ ৪ দিনের জন্য। জম্মু কাশ্মীর, আসাম, উত্তর-পূর্ব ভারতের ক্ষেত্রে বৈধতার সময়সীমা ৩০ দিন।
* এরপর যে অপারেটরে নম্বর পোর্ট করতে চাইবেন গ্রাহক, সেই অপারেটরের কাস্টমার সার্ভিস সেন্টারে যেতে হবে।
* সেখানে কাস্টমার অ্যাকুইজিশন ফর্ম (সিএএফ) এবং পোর্ট ফর্ম পূরণ করতে হবে। পাশাপাশি KYC ডকুমেন্ট দিয়ে পেমেন্টও করতে হবে।
* ডকুমেন্ট সাবমিট করে দেওয়ার পর একটি নতুন সিম ইস্যু করা হবে। গ্রাহক তার ফোনে একটি পোর্টিং রিকোয়েস্টের এসএমএসও পাবেন।
* সেই এসএমএসটি লেখা থাকবে পোর্টিংয়ের তারিখ এবং সময়ের সমস্ত বিস্তারিত তথ্য।
আরও পড়ুন: এয়ারটেল গ্রাহকদের জন্য সুখবর! পুণরায় ফিরিয়ে আনা হল আনলিমিটেড সুবিধা
পোর্টিংয়ের জন্য কত টাকা দিতে হবে? পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটার কোনও সম্ভাবনা রয়েছে?
প্রত্যেক পোর্ট আবেদনের জন্য দিতে হবে ৬.৪৬ টাকা। ট্রাইয়ের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে পোর্টের দিন রাতে চার ঘন্টার জন্য বন্ধ থাকবে পরিষেবা।
একবার পোর্টিং করলে পরে সেই আবেদন কি তুলে নেওয়া সম্ভব?
হ্যাঁ। এটা সম্ভব। গ্রাহকেরা তাঁদের পোর্টিংয়ের আবেদন এসএমএস পাঠিয়ে বাতিল করতে পারবেন। CANCEL space নিজের দশ অঙ্কের মোবাইল নম্বর লিখে এসএমএস পাঠান 1900 নম্বরে। তবে পোর্টিংয়ের আবেদন করার ২৪ ঘন্টার মধ্যে এই ক্যানসেলের আবেদন করতে হবে।
Read the full story in English