New SIM Card Rule: এখন আর নতুন সিম কার্ড কেনা আগের মতো সহজ হবে না, এই শর্তগুলি পূরণ না করলে কোন মতেই মিলবে না সিম কার্ড। সরকার দীর্ঘদিন ধরে সাইবার অপরাধের মোকাবেলা করার চেষ্টা করে আসছে। সিম কার্ড সম্পর্কে এখন একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে। টেলিকম বিভাগ টেলিকম কোম্পানিগুলিকে ডিজিটাল ইন্টিগ্রেটেড ভেরিফিকেশন সিস্টেম বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছে।
গত মাসে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (PMO) টেলিযোগাযোগ বিভাগকে (DoT) একটি বাধ্যতামূলক নির্দেশ জারি করে যাতে সমস্ত নতুন সিম কার্ড সংযোগের জন্য আধার-ভিত্তিক বায়োমেট্রিক যাচাই বাধ্যতামূলক করা হয়। এখন টেলিযোগাযোগ বিভাগ টেলিকম কোম্পানিগুলিকে ডিজিটাল ইন্টিগ্রেটেড ভেরিফিকেশন সিস্টেম বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হল জাল নথির মাধ্যমে প্রাপ্ত মোবাইল সংযোগের ক্রমবর্ধমান অপব্যবহার রোধ করা, যেগুলি প্রায়ই জালিয়াতি এবং অন্যান্য অপরাধমূলক কার্যকলাপের জন্য ব্যবহৃত হয়।
সিম কার্ডের জন্য আধার যাচাই বাধ্যতামূলক
মানি কন্ট্রোলের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, আগে ব্যবহারকারীরা নতুন মোবাইল সংযোগ পেতে ভোটার আইডি বা পাসপোর্টের মতো যেকোনো সরকারি পরিচয়পত্র ব্যবহার করতে পারতেন। তবে, নতুন নিয়ম অনুসারে, সমস্ত নতুন সিম কার্ড অ্যাক্টিভেট করার জন্য আধারের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক যাচাইকরণ এখন বাধ্যতামূলক। এই পদ্ধতি অনুসরণ না করে খুচরা বিক্রেতাদের সিম কার্ড বিক্রি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
শুধু তাই নয়, গ্রাহকের নামে কতগুলি সিম কার্ড সংযোগ রয়েছে তাও তদন্ত করা হবে। এছাড়াও, যদি কোনও টেলিকম গ্রাহক ভিন্ন নামে সংযোগ নিয়ে থাকেন, তাহলে এখন তার তদন্ত করা হবে। এখন গ্রাহকের ছবি ১০টি ভিন্ন কোণ থেকে তুলতে হবে।
টেলিকম খাতের একটি পর্যালোচনা সভার পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এই সিদ্ধান্ত এসেছে, যেখানে আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জাল সিম কার্ডের ভূমিকা তুলে ধরা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার এবং অপরাধীদের সনাক্তকরণ এবং শাস্তি দেওয়ার জন্য AI সরঞ্জাম ব্যবহার করার জন্য DoT-কে নির্দেশ দিয়েছে। জাল নথি ব্যবহার করে সিম কার্ড ইস্যু করার অভিযোগে খুচরা বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
নতুন এই নির্দেশ সাইবার অপরাধ মোকাবেলায় সরকারের বৃহত্তর প্রচেষ্টারই প্রতিফলন। আধার-ভিত্তিক যাচাইকরণ বাস্তবায়নের মাধ্যমে, যাচাই না করা মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে জালিয়াতির ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই নির্দেশিকাগুলি সারা দেশে সিম কার্ড ইস্যু এবং ট্র্যাকিংয়ের উপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করবে।