Advertisment

সরকার মেসেজ পড়তে চায় না, উৎস জানতে চায়; হোয়াটসঅ্যাপ সিইও-কে বার্তা রবিশঙ্কর প্রসাদের

রবিশঙ্কর প্রসাদের স্পষ্ট দাবি, "সরকার হোয়াটসঅ্যাপ-কে কোনও মেসেজ ডিক্রিপ্ট করতে বা পড়তে বলছে না। শুধু কোনও একটি মেসেজের উৎস কোথায়, সে বিষয়ে তথ্য প্রস্তুত রাখতে বলছে"।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল এবং কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অভিজিৎ বোস, ২০১৯ সালের প্রথম দিকে হোয়াটসঅ্যাপে যোগ দিতে চলেছেন।

মেসেজের উৎস যাতে সুনির্দিষ্টভাবে সন্ধান করা যায়, সেজন্য ফেসবুকের মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপকে ফের বার্তা দিল ভারতের তথ্য প্রযুক্তি ও টেলি যোগাযোগ মন্ত্রক। বিভাগীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের স্পষ্ট দাবি, "সরকার হোয়াটসঅ্যাপ-কে কোনও মেসেজ ডিক্রিপ্ট করতে বা পড়তে বলছে না। শুধু কোনও একটি মেসেজের উৎস কোথায়, সে বিষয়ে তথ্য প্রস্তুত রাখতে বলছে"। ছড়িয়ে পড়া ভুয়ো মেসেজ এবং এরফলে নানা অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতেই সরকারের এই পদক্ষেপ। বৃহস্পতিবার হোয়াটঅ্যাপের সিইও ক্রিস ড্যানিয়েল এবং তাঁর দল নয়াদিল্লিতে রবিশঙ্কর প্রসাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তখনই এ সংক্রান্ত বিষয়ে কথা হয় উভয় পক্ষের।

Advertisment

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে মেসেজ আদান প্রদানের মাধ্যম হিসাবে হোয়াটসঅ্যাপকে তাদের দায়িত্বের কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন রবিশঙ্ক প্রসাদ। হোয়াটসঅ্যাপও জানিয়েছে, সরকারের এই দাবি মেটাতে তারা সচেষ্ট। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে ভারত সরকার দাবি অনুযায়ী, বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে এই জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপটি। তবে, সরকারের প্রধান দাবিটি এখনও সুনিশ্চিত করতে পারেনি তারা। উল্লেখ্য, হোয়াটসঅ্যাপ যে মেসেজ পড়তে নারাজ, সে কথা সাফ জানিয়ে দিয়েছে সংস্থাটি।

আরও পড়ুন: ভারতীয়দের শিক্ষিত করার দায়িত্ব কাঁধে নিল হোয়াটসঅ্যাপ ও জিও

গত অগস্ট থেকে এই নিয়ে রবিশঙ্কর প্রসাদের সঙ্গে মোট দু'বার সাক্ষাত হল হোয়াটসঅ্যাপের সিইও-র। গত বৈঠকে আলোচনার পর হোয়াটসঅ্যাপের কাজে কতটা অগ্রগতি হয়েছে তা নিয়েই পর্যালোচনা হয়েছে এ দিনের মিটিংয়ে। আগের আলোচনাতেই ভারতের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের সঙ্গে সহমত হয়েছিল হোয়াটসঅ্যাপ এবং তারা জানিয়েছিল কিভাবে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে হয় সে বিষয়ে ভারতীয়দের 'শিক্ষিত করার' ভার নেবেন তারাই। ভারতের আসন্ন নির্বাচনের আগে এই মেসেজিংঅ্যাপকে ব্যবহার করে ভুয়ো খবরের ভিত্তিতে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে দিকে নজর দিতেই হোয়াটসঅ্যাপকে পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক।

Advertisment

আরও পড়ুন: দেশবাসীকে শিক্ষিত করুন, কেন্দ্রকে বলল হোয়াটসঅ্যাপ

ভারতের আইনমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ বলেন "...হোয়াটসঅ্যাপ উপযুক্ত এবং ভারতীয়দের পছন্দসই একটি প্ল্যাটফর্ম। তবে এর প্রাতিষ্ঠানিক রক্ষণাবেক্ষণ করা উচিত, যাতে এটির অপব্যবহার করা না যায়। এ জন্যই বারবার কথা বলা হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপের সঙ্গে। তারা আশ্বস্ত করেছে যে  বিষয়টি নিয়ে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। গত কয়েক মাস ধরে, হোয়াটসঅ্যাপ সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে অনেকটা উদ্বেগ কাটিয়েছে। কিন্তু আমাদের সবচেয়ে বড় চাহিদা হল প্রতারণামূলক বার্তাগুলির প্রচারকারীকে সনাক্ত করা। এ বিষয়ে হোয়াটসঅ্যাপ এখনও পর্যন্ত কতদূর কাজ করেছে, তা জানা যাবে আলোচনার পরই।

আরও পড়ুন: বন্ধ হয়ে যেতে পারে ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপ ইনস্টাগ্রাম

প্রসঙ্গত, জুলাই মাসে হোয়াটসঅ্যাপকে মেসেজ ট্রেস করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কেন্দ্রের তথ্য মন্ত্রক আলোচনার ১৬ দিনের মাথায় কোম্পানির কাছে দুটি নোটিস পাঠায়। কর্ণাটকের বিদারের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার আলোকের হত্যার ভুয়ো খবর হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে দ্রুত প্রচার হয়। এরকম "উদ্বেগজনক বার্তা সনাক্ত করার জন্যই ট্রেস করায়র বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে"।

তবে, অগস্টের বৈঠকের পর, তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রক সাংবাদিকদের বলেন , হোয়াটসঅ্যাপ তাদের প্রত্যাশা পুরণ করেনি। তবে তারা আশ্বাস দিয়েছে একটা দল গঠন করা হয়েছে ঘটনার তদারকির জন্য। তবে হোয়াটসঅ্যাপ যে ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তায় হস্তক্ষেপ করবে না, সে কথা প্রথম আলোচনার পরই সাফ জানিয়ে দিয়েছে সংস্থাটি।

Read the full story in English

Whatsapp
Advertisment