ভারতীয়দের শিক্ষা দেওয়ার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। তার সঙ্গে জোট বেঁধেছে রিলায়েন্স জিও। শিক্ষা দেওয়া হবে, কীভাবে নিরাপদে ব্যবহার করেবেন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট। চলতি মাসের ৯ তারিখ থেকে শুরু হবে এই কোর্স। হোয়াটসঅ্যাপ এবং জিও একইসঙ্গে একটি ভ্রাম্যমান ভ্যানে করে উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, সহ আরও বিভিন্ন রাজ্যে ঘুরে বেড়াবে।
মূল লক্ষ্য থাকবে নিরাপদে এবং দায়িত্ব সহকারে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করার পদ্ধতি প্রচার করা। পথ নাটক, এবং জনপ্রিয় কিছু শিল্পের মাধ্যমে কিভাবে পরবর্তী কালে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা উচিত তা জানা যাবে। এ ছাড়া এই প্রচারের তালিকায় থাকবে কিছু শিক্ষামূলক ভিডিও, লিফলেট যাতে হিন্দি, বাংলা, ইংরেজি, এবং মারাঠি ভাষায় লেখা থাকবে যাবতীয় নিয়মকানুন।
আরও পড়ুন: কাছের বন্ধু কোথায় আছে, জানুন ফেসবুক ম্যাপের মাধ্যমে
হোয়াটসঅ্যাপের এক মুখপাত্র বলেন, "লক্ষ লক্ষ ভারতীয়দের ডিজিটাল মাধ্যমে পারদর্শী করে তোলার পিছনে জিওর একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সেই কারণেই জিওর সঙ্গে হাত ধরে নিরাপদে ডিজিটাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করার শিক্ষা দেবে হোয়াটসঅ্যাপ।"
কয়েক মাস আগে হোয়াটসঅ্যাপ কেন্দ্রীয় সরকারকে বলেছিল ভারতবাসীকে শিক্ষা দিন, পরিকাঠামোগত সম্পূর্ণ বদল করা সম্ভব নয়। এই গুরু দ্বায়িত্ব নিজের কাঁধেই নিয়ে নিলেন হোয়াটসঅ্যাপ। সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপ চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ডিজিটাল এমপাওয়ারমেন্ট ফাউন্ডেশন রিলায়েন্স জিওর সঙ্গে। সম্প্রতি ভুয়ো খবরের জেরে ভারতে গণপ্রহার থেকে শুরু করে দাঙ্গা হাঙ্গামা, সবই ঘটেছে। তার পর থেকেই নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় সরকার। চিঠি মারফত বারংবার হোয়াটসঅ্যাপকে তার পরিকাঠামোর ভোল বদল করার নির্দেশ দিয়েছে। এবং পাশাপাশি ভারত থেকে হোয়াটসঅ্যাপ বা ফেসবুক বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছে বর্তমান সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ।
আরও পড়ুন: মুখ দেখালেই মিলবে প্লেনে ওঠার অনুমতি
সামনেই লোকসভা ভোট। তার আগেই ১০ টি রাজ্য জুড়ে ৪০ টি ট্রেনিং দেওয়ার কথা জানিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। যে সব জায়গায় এর আগে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়ার কারণে গোলমাল বেঁধে গিয়েছিল, সেই সব জায়গার মানুষকেও শিক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। তবে এই দাঙ্গা হাঙ্গামার জন্য যে শুধু আমজনতাই দায়ী নয়, সেটাও উল্লেখ করে এই মেসেজিং সংস্থা। তাই সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মচারী, প্রশাসন প্রতিনিধিদেরও সচেতনতা সম্পর্কে দায়িত্ব নেবে এই সংস্থা। সাতটি রাজ্যের প্রায় ৩০,০০০ মানুষকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এ বিষয়ে।
যেসব গ্রামীণ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী অনলাইনের মাধ্যমে কাজ করতে চায়, তাদের জাল খবর চিনে নিয়ে এবং এড়িয়ে গিয়ে নিরাপদে ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তাদের কাছে সচেতনতার বার্তা পৌঁছনো হবে, সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক ওসামা মানজার।