Operation Sindoor: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার উপযুক্ত জবাব দিয়েছে ভারত। অপারেশন সিঁদুর অভিযানে একের পর এক জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে ভারতীয় বায়ু সেনা। ভারতের ভয়ঙ্কর এয়ার স্ট্রাইকে পিছু হটতে বাধ্য হয় পাকিস্তান। আজকের এই প্রতিবেদনে জানুন এই অভিযানে ব্যবহৃত অত্যাধুনিক ৬ অস্ত্র সম্পর্কে যেগুলি শুধু শত্রুপক্ষকে পিছু হটতে বাধ্য করেনি। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলেও ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে।
১. আকাশ মিসাইল সিস্টেম: দেশীয় প্রযুক্তির সফল রূপ
ডিআরডিও-র তৈরি আকাশ মিসাইল ২৫ কিমি দূর পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। অপারেশন সিঁদুরে এটি ড্রোন ও মিসাইল ধ্বংসে এই বিশেষ আকাশ মিসাইল সিস্টেম ব্যবহৃত হয়। এটি দেশীইয় প্রযুক্তিতে তৈরি। এটি প্রমাণ করে বিদেশি প্রযুক্তির চেয়েও ভারতীয় অস্ত্র এখন বেশি নির্ভরযোগ্য।
২. L70 বিমান বিধ্বংসী বন্দুক: পুরনো অস্ত্রে নতুন প্রযুক্তির ছোঁয়া
সুইডেনের তৈরি এই বন্দুক এখন ডিজিটাল ট্র্যাকিং ও সাইডস্ক্রোলিং প্রযুক্তিতে আপগ্রেড হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরে রাতের অন্ধকারে শত্রুর ড্রোন ধ্বংসে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে।
৩. S-400 ট্রায়াম্ফ: ভারতীয় এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমে অদৃশ্য ঢাল
রাশিয়ায় তৈরি এই বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ৪০০ কিমি দূর থেকে শত্রু ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসে সক্ষম। অপারেশন সিঁদুরে, পাকিস্তানের ফাতাহ-২ ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ S-400-ই ব্যর্থ করে দেয়। ভারতের আকাশসীমা সম্পূর্ণ সুরক্ষিত।
৪. রাফাল + SCALP ও হ্যামার মিসাইল: গভীর আঘাতের নিখুঁত পরিকল্পনা
রাফাল ফাইটার জেট থেকে উৎক্ষেপিত SCALP মিসাইল ৫৬০ কিমি দূর থেকেও লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। এই অস্ত্রে পাকিস্তানের লঞ্চ প্যাড ও সামরিক ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়, যা শত্রু পক্ষের মনোবল মুহূর্তে ধ্বংস করে দেয়।
৫. Su-30MKI + ব্রহ্মোস: সুপারসনিক যুগলবন্দি
Su-30MKI জেট থেকে উৎক্ষেপিত ব্রহ্মোস মিসাইল ২.৮ ম্যাক গতির সঙ্গে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। পাকিস্তানের সামরিক ঘাঁটি ধ্বংস করতে এই অস্ত্র সম্ভারে ভারত সমগ্র বিশ্বক চমকে দিয়েছে।
৬. HAROP লুটিং ড্রোন: নিঃশব্দ ঘাতক
ইসরায়েলি তৈরি HAROP ড্রোন শত্রুর রাডার ও কমিউনিকেশন সিস্টেমে সুনির্দিষ্ট আঘাত হানে। অপারেশন সিঁদুরে এই ড্রোনগুলি পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়।