নাগরিক সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে টুইটার সিইও জ্যাক ডরসি এবং সংস্থার কয়েকজন শীর্ষ আধিকারিকদের ডেকে পাঠিয়েছে সংসদীয় কমিটি। শুধু টুইটার নয়, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপের মতো সোশাল মিডিয়া সংস্থাকেও ডাকার পরিকল্পনা রয়েছে সংসদীয় কমিটির।
সংসদীয় কমিটির এক সদস্যকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআই জানায়, যতক্ষণ না টুইটারের একেবারের উচ্চস্তরের কর্তারা কমিটির সঙ্গে আলোচনায় বসছেন, ততক্ষণ সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে অন্য কোনও টুইটার কর্তার সঙ্গে দেখা করা হবে না। টুইটার ইন্ডিয়ার পলিসি ডিরেক্টর মাহিমা কউল, পায়েল কামাত সোমবার সংসদে গিয়েছিলেন আলোচনার জন্য। কিন্তু, তাঁদের সঙ্গে দেখা করেননি সংসদীয় কমিটির সদস্যরা।
আর পড়ুন, ফেসবুকে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দিলেই উল্লেখ করতে হবে প্রকাশক এবং খরচবাহকের নাম
সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান অনুরাগ ঠাকুর একটি চিঠি পড়ে শুনিয়েছেন যেখানে পরিষ্কার উল্লেখ করা আছে, টুইটার সংস্থার কোনও নীতিগত সিদ্ধান্ত সংস্থার ভারতীয় শাখার আধিকারিকরা নিতে পারবেন না।
৭ ফেব্রুয়ারি বৈঠকের জন্য ১ ফেব্রুয়ারি সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে টুইটারকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু, ‘এত কম সময়ের মধ্যে আলোচনার পরিসর প্রস্তুত করা কঠিন' বলে দাবি করেন টুইটারের কোনও কোনও কর্তা। জানিয়েছে সংবাদসংস্থা পিটিআই।
টুইটারকেই সরকার নিশানা করছে, এই বার্তা যাতে না প্রেরিত হয়, তাই ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপকেও ডেকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্যানেল। সূত্রের খবর অনুযায়ী বিজেপি নেতা এলকে আদবানী জানতে চেয়েছেন সোশাল মিডিয়াগুলো সরকারের নিয়ম মেনে চলছে কি না। সংসদীয় কমিটির প্রত্যেক সদস্যই সহমত হয়েছেন, টুইটারের মতো অন্য সোশাল মিডিয়াগুলোকেও ডাকা উচিত"।
Read the full story in English