শুক্রবার থেকে খেলা যাবে না পাবজি

নেশা তাড়াতে রীতিমত কালঘাম ছুটছে অভিভাবকদের। বারণ করেও লাভ হয়নি, কাজেই শিকড় কাটতে বাধ্য হল নেপাল টেলিকমিউনিকেশন অথরিটি।

নেশা তাড়াতে রীতিমত কালঘাম ছুটছে অভিভাবকদের। বারণ করেও লাভ হয়নি, কাজেই শিকড় কাটতে বাধ্য হল নেপাল টেলিকমিউনিকেশন অথরিটি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

দিন নেই রাত নেই, সর্বক্ষণ ৬ ইঞ্চি স্ক্রিনে মুখ ঢুকিয়ে বসে আছে নতুন প্রজন্ম। বলা বাহুল্য, নতুন নেশায় লিপ্ত হয়েছে তারা। এই নেশা তাড়াতে রীতিমতো কালঘাম ছুটছে অভিভাবকদের। বারণ করেও লাভ হয়নি, কাজেই শিকড় কাটতে বাধ্য হল নেপাল টেলিকমিউনিকেশন অথরিটি। জানা যাচ্ছে, বেশ কিছুদিন ধরেই পাবজির বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ জমা হচ্ছিল। যে কারণে নেপাল মেট্রোপলিটন ক্রাইম ডিভিশন গতকাল কাঠমান্ডু জেলা আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে। তার একদিন পর, নেপালের টেলিযোগাযোগ দপ্তর সমস্ত আইএসপিএস এবং মোবাইল পরিষেবা দাতাদের পাবজি ব্লক করার কড়া নির্দেশ দিয়েছে। শুক্রবার থেকে নেপালে খেলা যাবে না পাবজি।

Advertisment

আরও পড়ুন: এক মাসে এক মিলিয়ন বিক্রি , অথচ নাগালে নেই রেডমি নোট সেভেন সিরিজ

মেট্রোপলিটন ক্রাইম ডিভিশনের প্রধান জানিয়েছেন, এই গেম শিশুদের উপর কী পরিমানে ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলেছে, সে সম্পর্কে মা-বাবা এবং স্কুল ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা থেকে একাধিক অভিযোগ এসেছে। তারপরেই পাবজি নিষিদ্ধ করার অনুমতি পাওয়ার জন্য কাঠমান্ডু জেলা আদালতকে অনুরোধ করা হয়। এর আগে আমরা মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করেছি।"

Advertisment

মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনেই এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, "অভিভাবক এবং স্কুল অভিযোগ করেছিল, এই খেলা তাদের শিশুদের মনে দৃঢ়ভাবে প্রভাব ফেলছে, যার ফলে সর্বক্ষেত্রে তাদের হাবভাবে আক্রমনাত্মক আচরণ দেখা গেছে। মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পাবজি খেললে আচরণে বদল আসতে বাধ্য।