টেলিকম ময়দানের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে এয়ারটেল ভোডাফোনকে হারিয়ে দিয়েছে জিও। গতবছর অক্টোবর মাসে, প্রায় ৯১ লাখেরও বেশি নতুন সাবস্ক্রাইবার ওয়ারলেস নেটওয়ার্ক ব্যবহার শুরু করেছে। এতেই ভারতে জিওর গ্রাহক সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে ৩৬.৪৩ কোটিতে। জিওকে অনুসরণ করছে বিএসএনএল, ভোডাফোন আইডিয়া এবং ভারতী এয়ারটেল। টেলিকম রেগুলোটারি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (ট্রাই) জানিয়েছে, ওই মাসে বিএসএনএল-র কোটে রয়েছে ২.৮ লাখ সাবসক্রাবার এবং ভোডাফোন এয়ারটেলে এসেছে ১.৮ ও ৮ লাখ।
মাসে রিলায়েন্স জিও'র গ্রোথ রেড ২.৫৬ শতাংশ। তবে গতবছরের অক্টোবর মাসের শেষে বিএসএনএলের গ্রোথ হয়েছে ১১.৭২ কোটি অর্থাৎ প্রায় ০.২৫ শতাংশ। ভোডাফোনের ০.০৫ শতাংশ, অর্থাৎ প্রায় ৩৭.২৬ কোটি, সেখানে এয়ারটেলের ৩২.৫৬ কোটি (০.০৩ শতাংশ)।
আরও পড়ুন:কমতে চলেছে ডিটিএইচ খরচ, বাড়বে চ্যানেলও
অক্টোবর মাসে জিও ঘোষণা করে যে, জিও থেকে অন্য নেটওয়ার্ক (এয়ারটেল, ভোডাফোন-আইডিয়া, বিএসএনএল) কল করলে অতিরিক্ত ছয় পয়সা লাগবে প্রতি মিনিটে। পরবর্তীকালে সেই নিয়মে ফিরে আসে বাকি টেলিকম সংস্থা। কিন্তু সেই নিয়ম চালু হওয়ার কিছুদিন পরই এয়ারটেল ভোডাফোন পুনরায় আনলিমিটেড পরিষেবা নিয়ে আসে। তবে আগের চেয়ে দাম অনেকটাই বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন:দুর্দান্ত প্ল্যান! ইন্টারনেট ছাড়া ফিচার ফোন আনছে রিলায়েন্স
মজার বিষয় হচ্ছে, অক্টোবরের শেষে মোবাইল নম্বর পোর্টাবিলিটি (এমএনপি) এর অনুরোধের করেছে প্রায় ৪.০৮ মিলিয়ন।সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে এখনও অবধি পোর্টের সংখ্যা ৪৫৭.৬৫ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬১.৭৩। সম্প্রতি, ট্রাই এমএনপি বিধিগুলিকে সংশোধন করেছে। ব্যবহারকারীরা মোবাইল নম্বর পোর্ট করার নিয়ম আগের চেয়ে অনেকটা সহজ করেছে। প্রক্রিয়াটি এখন পাঁচ 'ওয়ার্কিং ডেস'র মধ্যে সম্পন্ন হয়ে যাবে। এর আগে নম্বর পোর্ট করতে প্রায় ১৫ দিন সময় লাগত।
Read the full story in English