এয়ারটেল এবং জিও-র লড়াইয়ে কে এগিয়ে? কে অফার ভালো দিচ্ছে এই মূহুর্তে? কোন পরিষেবা নিলে চটজলদি কাজ করতে পারবেন আপনি? এমন প্রশ্ন হামেশাই ঘুরপাক খায় উপভোক্তাদের মনে। এই সব প্রশ্নের জবাব দেবে এই প্রতিবেদন।
ডাউনলোড স্পিডে এগিয়ে এয়ারটেল, ফোর জির উপস্থিতিতে এগিয়ে রিলায়েন্স জিও। ২০১৮ সালের নভেম্বরে কোন নেটওয়ার্ক নিলে উপকৃত হবেন? জিও ফোর জি পরিষেবার সরবরাহকারীর ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে। যার প্রাপ্যতা বেশি ভারতে। 4G LTE দিতে পারে একমাত্র জিও। ডাউনলোডের গতিতে, এয়ারটেলের সর্বোচ্চ গতি ৭.৫৩ Mbps। এর পরে রিলায়েন্স জিও এবং ভোডাফোন ৫.৪৭ Mbps এবং ৫.২০ Mbps। আইডিয়া এবং বিএসএনএল যথাক্রমে ৪.৯২ Mbpsএবং ২.৭০ Mbps।
আরও পড়ুন: দাম বাড়ল এয়ারটেল রিচার্জের
আপলোড গতির পরিপ্রেক্ষিতে, আইডিয়া ভারতের ২.৮৮ Mbps গতির কারণে শীর্ষে রয়েছে। ভোডাফোন ২.৩১ Mbps গতিতে আপলোড করে থাকে, এয়ারটেল, রিলায়েন্স জিও এবং বিএসএনএল যথাক্রমে ১.৯০ Mbps, ১.৫৮ Mbps এবং ০.৭৮ Mbps। অবশ্যই, 4G LTEর পরিপ্রেক্ষিতে এই গতি এখনও কাছাকাছি আসতে পারে নি।
ভারতে ২২ টি টেলিকম পরিষেবার মধ্যে রিলায়েন্স জিওর সর্বোচ্চ ফোর জি প্রাপ্যতা রয়েছে, যা ৯৬.৭০ শতাংশ। এয়ারটেল ৭৩.৯৯ শতাংশ এবং আইডিয়া ৭৩.১৭ শতাংশ। ভোডাফোন-এর ফোর জির ক্ষেত্রে ৭২.৫৯ শতাংশ।
আরেকটি আকর্ষণীয় দিক বর্তমানে মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় উঠেছে, যা হল ভিডিও দেখার প্রবণতা। যার জন্য রিলায়েন্স জিও ৩৮.৬৩ শতাংশ, ভোডাফোন ৩৮.৫৫ শতাংশ, ও আইডিয়া ৩৭.৫৬ শতাংশ স্কোর উপার্জন করেছে। এয়ারটেল বর্তমানে নেটফ্লিক্স, ও অ্যামাজনের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে। অনলাইন ভিডিও দেওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে এয়ারটেল। অন্যদিকে বিএসএনএলও নিয়ে এসেছে অ্যামাজন ভিডিও দেখার জন্য বিভিন্ন অফার। ইতিমধ্যে জিও-র সঙ্গে জোট বেঁধেছে জি এবং ভায়াকম ১৮। সুতরাং টেলিকম পরিষেবার সব সুযোগ সুবিধার ক্ষেত্রে এগিয়ে এয়ারটেল এবং জিও।
Read the full story in English