/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/20/smartphone-battery-mah-meaning-2025-09-20-17-57-12.jpg)
স্মার্টফোন এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
স্মার্টফোন এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কলিং, সোশ্যাল মিডিয়া, অনলাইন শপিং কিংবা গেমিং—সবকিছুই নির্ভর করছে মোবাইলের উপর। তাই নতুন ফোন কেনার সময় ব্যবহারকারীরা প্রথমেই খোঁজ নেন ব্যাটারির পারফরম্যান্স কেমন। বাজারে প্রায়ই শোনা যায়, কোনো ফোনে রয়েছে ৫০০০mAh কিংবা ৬০০০mAh ব্যাটারি। কিন্তু অনেকেই জানেন না আসলে mAh বলতে কী বোঝায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, mAh-এর পুরো নাম Milliampere Hour। এটি ব্যাটারির ক্ষমতা পরিমাপের একটি একক। সহজ কথায়, mAh দেখায় একটি ব্যাটারি কতক্ষণ চার্জ ধরে রাখতে পারে এবং ডিভাইসকে পাওয়ার সরবরাহ করতে পারে। সাধারণভাবে বলা যায়, বেশি mAh মানে বেশি ব্যাটারি ব্যাকআপ, আর কম mAh মানে দ্রুত ডিসচার্জ। যেমন, একটি ৫০০০mAh ব্যাটারি ৩০০০mAh ব্যাটারির তুলনায় বেশি সময় চলবে, যদি ফোনের প্রসেসর ও ডিসপ্লে একই হয়।
তবে বাস্তবে ব্যাটারির স্থায়িত্ব শুধুমাত্র mAh-এর উপর নির্ভর করে না। স্ক্রিনের আকার ও উজ্জ্বলতা, প্রসেসরের পাওয়ার খরচ, 4G বা 5G নেটওয়ার্ক ব্যবহার, ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ, গেমিং এবং ভিডিও স্ট্রিমিং—এসবই ব্যাটারি লাইফে বড় প্রভাব ফেলে। ফলে, ৬০০০mAh ব্যাটারির ফোন সবসময় ৫০০০mAh ব্যাটারির ফোনের চেয়ে বেশি সময় টিকে, এমনটা নয়। বড় ডিসপ্লে, উচ্চ রিফ্রেশ রেট (১২০Hz/১৪৪Hz) কিংবা শক্তিশালী প্রসেসর থাকলে বিদ্যুৎ খরচও বেড়ে যায়।
এছাড়া অনেকেই মনে করেন mAh চার্জিং পাওয়ারকেও প্রভাবিত করে। কিন্তু চার্জিং আসলে নির্ভর করে চার্জারের ওয়াটের উপর, যেমন ৬৭W বা ১২০W ফাস্ট চার্জিং। যদিও বড় ব্যাটারি (৬০০০mAh) ছোট ব্যাটারির (৪০০০mAh) তুলনায় চার্জ হতে বেশি সময় নেয়।
ব্যাটারির স্থায়িত্ব বজায় রাখতে বিশেষজ্ঞরা কিছু টিপস দিচ্ছেন—সবসময় আসল চার্জার ব্যবহার করুন, ফোনকে বারবার ০% পর্যন্ত ডিসচার্জ হতে দেবেন না, ২০% থেকে ৮০% এর মধ্যে চার্জ বজায় রাখার চেষ্টা করুন। পাশাপাশি অযথা উচ্চ উজ্জ্বলতা এড়িয়ে চলা এবং অপ্রয়োজনীয় ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ বন্ধ রাখাও জরুরি।
অর্থাৎ, mAh হলো ব্যাটারির ক্ষমতার একক, কিন্তু ফোনের আসল ব্যাটারি লাইফ নির্ভর করে হার্ডওয়্যার, সফ্টওয়্যার এবং ব্যবহারের ধরণ—সব কিছুর উপরেই।