জানা যাচ্ছে, সূর্যগ্রহণের সময়কাল, সকাল ৮টা ২৭ মিনিট থেকে ১১টা ৩২ মিনিট পর্যন্ত। কোচবিহার ও দার্জিলিং এ আংশিক সূর্যগ্রহণ শুরু হয়েছিল সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে ও ৮টা ৩৩ মিনিটে।
কলকাতাবাসীরা আশায় বুক বাঁধলেও, বাধ সাধল মেঘলা আকাশ। কখন মেঘ সরবে তারপর সূর্যগ্রহণ দেখতে পাওয়া যাবে সেই অপেক্ষায় থাকলে অফিস, স্কুল, কলেজ যাওয়া আজ আর হত না। তাই অনেকে ধরেই নিয়েছেন কলকাতার আকাশ থেকে দেখা যায়নি সূর্যগ্রহণ।
Advertisment
কলকাতার আকাশে টানা তিন ঘণ্টা পাঁচ মিনিট সূর্যগ্রহণ দেখা না গেলেও নটার পর থেকে দশটার আগে পর্যন্ত দেখা গিয়েছে সূর্যগ্রহণ। ‘পজিশনাল অ্যাস্ট্রোনমি সেন্টারে’র (পিএসি) অধিকর্তা সঞ্জীব সেন জানিয়েছেন, "যতক্ষণ রোদ সরে ছিল ততক্ষণ স্পষ্ট দেখা গিয়েছে। যার ছবিও সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রোজেকশনের মাধ্যমে দুটি টেলিস্কোপ সেট করা হয়েছিল এখানে। টেলিস্কোপের সাহায্যে সাদা পর্দায় গ্রহণের ছবিটি নেওয়া হয়েছে। তবে মাঝে মাঝে মেঘের কারণে গ্রহণ আড়াল হয়ে যায়। সাধারণ মানুষকে এবছর আমরা সূর্যগ্রহণ দেখার জন্য আমন্ত্রণ জানায়নি। কারণ আলিপুর আবহাওয়া দফতর পূর্বাভাস দিয়েছিল বৃহস্পতিবার পশ্চিমি ঝঞ্ঝার কারণে কলকাতার আকাশ মেঘলা থাকবে"।
পজিশনাল অ্যাস্ট্রোনমি সেন্টারে ক্যামেরা বন্দী করা হয়েছে গ্রহণের ছবি
প্রোজেকশন দিয়ে পর্দায় সূর্যগ্রহণ
গতকাল থেকেই সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে কিনা তাই নিয়ে প্রশ্ন জেগেছিল বিজ্ঞানী সহ কলকাতা সহ শহরতলির বাসিন্দাদের। সম্পূর্ণভাবে দেখা না গেলেও মাঝে মাঝে গ্রহণ দেখা দিয়েছে। এদিন পশ্চিমবঙ্গে আংশিক সূর্যগ্রহণ সবচেয়ে বেশি দেখা গিয়েছে কলকাতায় (মেঘলা আকাশের জন্য যা আড়াল ছিল)। জানা যাচ্ছে, সূর্যগ্রহণের সময়কাল, সকাল ৮টা ২৭ মিনিট থেকে ১১টা ৩২ মিনিট পর্যন্ত। কোচবিহার ও দার্জিলিং এ আংশিক সূর্যগ্রহণ শুরু হয়েছিল সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে ও ৮টা ৩৩ মিনিটে। শেষ হয়েছে ১১টা ২৯ মিনিট ও ১১টা ২৫ মিনিটে। কোচবিহারে গ্রহণের সময়কাল ছিল ২ ঘণ্টা ৫৪ মিনিট। দার্জিলিং এ গ্রহণের সময়কাল ছিল ২ ঘণ্টা ৫১ মিনিট।
কান্নোড়, কোয়েম্বাটোর, মাদুরাই, ম্যাঙ্গালোর, উঁটি, তিরুচিরাপল্লি থেকে দেখা গিয়েছে বলয় গ্রাস। এই সমস্ত জায়গায় তিন ঘণ্টারও খানিক বেশি সময় ধরে চলেছে সূর্যগ্রহণ।