Advertisment

ক্যান্সারের ঝুঁকি! মহাকাশে থাকায় দৃষ্টিশক্তিও হারাতে পারেন সুনিতা

Sunita Williams: মহাকাশ থেকে দুই মহাকাশচারীকে ফিরিয়ে আনার জন্য যথেষ্ট নিরাপদ নয় বোয়িংয়ের নতুন ক্যাপসুল। গত সপ্তাহেই নাসা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুনিতা উইলিয়ামস সহ দুই মহাকাশচারী বোয়িং-র নতুন ক্যাপসুলে নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

author-image
IE Bangla Tech Desk
আপডেট করা হয়েছে
New Update
NASA

সুনিতাকে ছাড়াই ফিরছে মহাকাশযান, নাসার বিরাট আপডেটে বুক কেঁপে উঠবে

Sunita Williams : মহাকাশ থেকে দুই মহাকাশচারীকে ফিরিয়ে আনার জন্য যথেষ্ট নিরাপদ নয় বোয়িংয়ের নতুন ক্যাপসুল। এমনটাই জানিয়েছে নাসা। গত সপ্তাহেই নাসা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুনিতা উইলিয়ামস সহ দুই মহাকাশচারী বোয়িং-র নতুন ক্যাপসুলে নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। সেজন্য সুনিতা সহ দুই মহাকাশচারীকে পরের বছর স্পেসএক্স মহাকাশযানের মাধ্যমে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা। 

Advertisment

বোয়িং-এর স্টারলাইনার মহাকাশযান এখন দুই মহাকাশচারীকে ছাড়াই পরের মাসে ফিরে আসতে চলেছে৷ নাসা এই মহাকাশযানের ফিরে আসার বিষয়ে জানিয়েছে। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) থেকে বোয়িং-র স্টারলাইনার দেশে ফিরবে। এই মহাকাশযানটি ১২ সপ্তাহ ধরে মহাকাশে রয়েছে। 

[ পাসপোর্ট তৈরির জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা, বন্ধ অনলাইন পোর্টাল, কবে থেকে চালু হবে পরিষেবা? ]

এতদিন মহাকাশে থাকার ফলে সুনিতার হাড় ও চোখ দুর্বল হয়ে পড়বে, ডিএনএ-তে পরিবর্তনও সম্ভব! ভবিষ্যতে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে পারবে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী সুনিতা উইলিয়ামস দু মাসেরও বেশি সময় ধরে মহাকাশে রয়েছেন। ২০২৫সালের ফেব্রুয়ারির আগে সুনিতার দেশে ফেরা কোনভাবেই সম্ভব নয়। তিনি মহাকাশে প্রায় ২৫০ দিন কাটাবেন।  

এতদিন মহাকাশে থাকলে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে দুরারোগ্য ব্যাধি

[ Realme 13 5G সিরিজে রয়েছে চমকের ছড়াছড়ি, দাম কত? ]

দীর্ঘ সময় মহাকাশে থাকার কারণে মহাকাশচারীদের শরীর, চোখ ও ডিএনএ-তে অনেক পরিবর্তন ঘটবে। আগের গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে দীর্ঘ সময় মহাকাশে অবস্থান করলে শরীরের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। সুনীতার আগেও বহু মহাকাশচারী মহাকাশে তাদের দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি সময় ধরে মহাকাশে থাকার রেকর্ড রাশিয়ার ভ্যালেরির নামে। তিনি মহাকাশে ৪৩৭ দিন কাটিয়েছেন।

[ jio-র হুঁশ উড়িয়ে দিল BSNL, তোলপাড় ফেলা প্ল্যান বাজার কাঁপাল ]

 সুনিতা এবং বুশ উইলমোর বোয়িং এবং নাসার যৌথ 'ক্রু ফ্লাইট টেস্ট মিশনে'মহাকাশে  গিয়েছিলেন। এতে মহাকাশযানের পাইলট ছিলেন সুনিতা। বুশ উইলমোর, যিনি তার সাথে ছিলেন, তিনি ছিলেন এই মিশনের কমান্ডার। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) ৮ দিনের মিশন শেষে তাদের দুজনের পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা ছিল। 

তবে এত দিন মহাকাশে কাটানোর পর লোহিত রক্তকণিকা ধ্বংস সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা তৈরি হতে পারে যা 'স্পেস' অ্যানিমিয়া সৃষ্টি করতে পারে। সুনিতা উইলিয়ামসের মা বনি পান্ড্য বলেছেন যে তিনি তার মেয়ের পৃথিবীতে ফিরে আসার বিলম্ব নিয়ে এতটুকুও চিন্তিত নন।

[ কল চলাকালীন অনুবাদ, টেক্সটে বদল! বিশেষ AI ফিচার আনল jio ]

মার্কিন টেলিভিশন নেটওয়ার্ক নিউজ নেশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বনি বলেন, "সুনিতা একজন অভিজ্ঞ মহাকাশচারী। আমি তাকে কোনো পরামর্শ দেব না। সে জানে তাকে কী করতে হবে। এমনকি সুনিতা ৪০০ দিন মহাকাশে থাকতে পারে। " অন্যদিকে, নাসা জানিয়েছে, সুনিতা ও বুচের জন্য আইএসএস-এ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য ও অক্সিজেনও রয়েছে।

NASA sunita-williams
Advertisment