"ধ্বংস হচ্ছে দেশজ সংস্কৃতি", নিষিদ্ধ হতে পারে টিকটক

২০১৮ সালে সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড করা অ্যাপগুলোর মধ্যে এটা অন্যতম। জনপ্রিয় সিনেমার সংলাপ থেকে শুরু করে নেতা মন্ত্রীদের ভাষণের সঙ্গে ঠোঁট নাড়িয়ে দিব্যি মজাদার ভিডিও বানিয়ে ফেলার খুব সহজ উপায় বাতলেছে এই টিকটক

২০১৮ সালে সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড করা অ্যাপগুলোর মধ্যে এটা অন্যতম। জনপ্রিয় সিনেমার সংলাপ থেকে শুরু করে নেতা মন্ত্রীদের ভাষণের সঙ্গে ঠোঁট নাড়িয়ে দিব্যি মজাদার ভিডিও বানিয়ে ফেলার খুব সহজ উপায় বাতলেছে এই টিকটক

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
tiktok

মঙ্গলবার বিধানসভায় তামিলনাড়ুর তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী এম মণিকন্দন ঘোষণা করেছেন টিকটক বন্ধ করার জন্য কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানাবে তামিলনাড়ু সরকার। ভারতীয় সংস্কৃতিকে ধ্বংস করা হচ্ছে, এই যুক্তিতে এআইডিএমকে নেতা নাগাপাট্টিনাম এর আগেই এই দাবিতে সরব হয়েছিলেন।

Advertisment

যেভাবে ব্লু হোয়েল গেম নিষিদ্ধ হয়েছে, সে ভাবেই টিকটক নিষিদ্ধ হোক, দাবি করেছেন রাজ্যের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী।

বর্তমানে মোবাইল ফোনের সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যাপটি হল টিকটক। ২০১৮ সালে সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড করা অ্যাপগুলোর মধ্যে এটা অন্যতম। জনপ্রিয় সিনেমার সংলাপ থেকে শুরু করে নেতা মন্ত্রীদের ভাষণের সঙ্গে ঠোঁট নাড়িয়ে দিব্যি মজাদার ভিডিও বানিয়ে ফেলার খুব সহজ উপায় বাতলেছে এই টিকটক।

আরও পড়ুন, দেখে নেওয়া যাক মন দেওয়া-নেওয়ার সেরা পাঁচটি অ্যাপ

Advertisment

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে মন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যের বহু সমাজকর্মী এবং অভিভাবকেরা তাঁকে জানিয়েছে, এই অ্যাপের ফলে রীতিমতো সংকটের মুখে পড়েছে দেশের সংস্কৃতি। তারপরেই তিনি এই অ্যাপ নিষিদ্ধ করবার লক্ষ্যে কেন্দ্রের কাছে দাবি জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

মন্ত্রী বলেছেন, "সৌদি আরব অথবা চিনের দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন, এই ধরণের অ্যাপ নিষিদ্ধ করার ব্যবস্থা রয়েছে ওদের দেশে। ভারত পরিবার কেন্দ্রিক সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে। আমরা আমাদের সন্তানদের কত নীতিবোধ শেখাই। সেখানে অধিকাংশ টিকটক ভিডিও কিন্তু অশ্লীল ভাবে নাচ গানের পরিবেশনা করে। এটা নিয়ে অনেকেই আপত্তি জানিয়েছে। সরকার যদি নিষিদ্ধ না করে তবে আমরা আরও জোরালো কোনো নিয়মাবলী রয়েছে কিনা, তার খোঁজ করব"।

বিষয়টি নিয়ে জাতীয় কংগ্রেসের মুখপাত্র খুসবু জানিয়েছেন, "এই অ্যাপটি ব্যক্তিগত কারণে ব্যবহার করা হয়। কারোর সমস্যা হলে সেই ভিডিও না দেখলেই হলো। কারোর মূল্যবোধের সঙ্গে কিছু খাপ না খেলেই যদি নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়, একদিন আর কিছু পড়ে থাকবে না। যদি কিছু নিয়ন্ত্রণ আনার দরকার হয়, নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম চালু করলেই হয় নিষিদ্ধ করার পরিবর্তে"।