/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/17/tejas-mk1a-indian-air-force-features-speed-payload-radar-2025-08-17-13-29-41.jpg)
জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী গেম-চেঞ্জার
Indian Air Force fighter jet: ২০০০ কিমি/ঘন্টা গতি, ৩,৫০০ কেজি পেলোড ক্ষমতা... ১৬০ কিমি দূর থেকে শত্রুদের টার্গেট করতে সক্ষম! তেজস যুদ্ধবিমানের বিশেষত্ব বুকে কাঁপুনি ধরাবে।
তেজস এমকে-১এ হল ভারতীয় বিমান বাহিনীর সবচেয়ে আধুনিক দেশীয় ফাইটার জেট। এর রাডার সিস্টেম এত দ্রুত যে এটি ১৬০ কিলোমিটার দূর থেকে শত্রুদের চিহ্নিত করতে পারে। বর্তমানে, ভারতীয় বিমান বাহিনী তাদের MiG-21 যুদ্ধবিমান অবসর নিচ্ছে।
এর জায়গায় ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে আসছে আরও আধুনিক দেশীয় যুদ্ধবিমান। তেজস এমকে-১এ (Tejas Mk-1A) হল ভারতের তৈরি সবচেয়ে অত্যাধুনিক ফাইটার জেট, যা সীমান্ত উত্তেজনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। ২,০০০ কিমি/ঘণ্টা সর্বোচ্চ গতি, ৩,৫০০ কেজি পেলোড বহন ক্ষমতা এবং ১৬০ কিলোমিটার দূর থেকে শত্রুর লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষমতা—সব মিলিয়ে তেজসকে জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী গেম-চেঞ্জার হিসাবে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।
বর্তমানে ভারতীয় বায়ুসেনায় ধাপে ধাপে পুরনো মিগ-২১ যুদ্ধবিমান অবসর নিচ্ছে। এর ঘাটতি পূরণে অবিলম্বে ১০০-রও বেশি নতুন প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের প্রয়োজন। পাশাপাশি, চিনের হাতে ইতিমধ্যেই ৫ম প্রজন্মের ফাইটার জেট রয়েছে এবং পাকিস্তানও সেই পথে হাঁটছে। ফলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই ভারতের প্রতিরক্ষা ভাণ্ডারে আধুনিক যুদ্ধবিমানকে অন্তর্ভুক্ত করা বিশেষ ভাবে প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যেই তৈরি হচ্ছে তেজস এবং আরও উন্নত এএমসিএ (AMCA)।
তেজস শুধু মিগ-২১-এর বিকল্প নয়, বরং আগামী তিন দশক ধরে ভারতীয় বায়ুসেনার ফ্রন্টলাইন বহুমুখী যুদ্ধবিমান হিসেবে কাজ করবে। এর আধুনিক রোডম্যাপ ও আপগ্রেড ভ্যারিয়েন্ট আন্তর্জাতিক মানের ফাইটার জেটগুলির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো। বিশেষত, এর AESA রাডার সিস্টেম ১৫০–১৬০ কিমি দূর থেকে শত্রুর গতিবিধি চিহ্নিত করতে সক্ষম, যা পাকিস্তানের JF-17 কিংবা চিনের J-10C এর তুলনায় অনেক বেশি উন্নত। প্রযুক্তি ও গোপনীয়তার দিক থেকেও এটি মার্কিন F-16 বা রাশিয়ান Su-30-এর চেয়ে কার্যকর বলে বিশেষজ্ঞদের দাবি।
ভারতীয় বায়ুসেনা ইতিমধ্যেই তেজস স্কোয়াড্রন মোতায়েনের পরিকল্পনা করেছে তিনটি ভিন্ন ও কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে—রাজস্থানের নাল (মরুভূমি), গুজরাটের নালিয়া (উপকূল) এবং লাদাখের দুর্গম পাহাড়ি এলাকা। এতে বোঝা যাচ্ছে, তেজসকে কেবল পরীক্ষামূলক প্রকল্প হিসেবে নয়, বরং ফ্রন্টলাইন ফাইটার জেট হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
অস্ত্রসজ্জার ক্ষেত্রেও তেজস এমকে-১এ এক ধাপ এগিয়ে। ভবিষ্যতে ব্রহ্মোস-এনজি মিসাইল যুক্ত হলে এর আক্রমণ ক্ষমতা ১৬০ কিমি’রও বেশি বাড়বে। এর পেলোড ধারণক্ষমতা ৩,৫০০ কেজি পর্যন্ত, আর সম্পূর্ণ অস্ত্রসজ্জিত অবস্থায় এটি ম্যাক ১.৬ গতিতে উড়তে সক্ষম। অদূর ভবিষ্যতে তেজস এমকে-১এ ভারতীয় বায়ুসেনার নির্ভরযোগ্য অস্ত্র হয়ে উঠতে চলেছে।