ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাওয়ার আশায় মাদ্রাজ হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী দুটি অ্যাপ স্টোর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় 'টিকটক' ডাউনলোড। ভারতে টিকটক এন্টারটেনমেন্টর প্রধান সুমেধা রাজগোপাল ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস ডট কমকে বলেন," যা কিছু ঘটেছে বা ঘটছে, আমরা আশা করি তার পরিপ্রেক্ষিতে ভবিষ্যতে সরকার কোনো ইতিবাচক পদক্ষেপ নেবে"।
টিকটক অ্যাপের মালিকানায় রয়েছে চিনা’বাইটডান্স’ নামক এক কোম্পানি। যারা গানের সঙ্গে নেচে বা সংলাপে ঠোঁট নেড়ে অভিনয় করার মত অভিনব ভাবনা চিন্তা নিয়ে এসেছিল অ্যাপ দুনিয়ায়। বেশ কয়েকমাস ধরে টিকটক অ্যাপের দীর্ঘায়ু ভারতীয়রা কামনা করলেও, শেষ রক্ষা আর করা গেল না। ভারতে অপসংস্কৃতি ছড়াচ্ছে, তৈরি করা হচ্ছে অশ্লীল ভিডিও এমনই কিছু অভিযোগ এনে টিকটক অ্যাপ নিষিদ্ধ করাতে তৎপর হয়ে উঠেছিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন:বন্ধ হয়েও হল না ‘টিকটক’ অ্যাপ
রাজ গোপাল বলেন, "এটি অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা। ভারতে আমাদের ব্যবসা এখনও বর্তমান। যা অত্যন্ত সক্রিয় এবং আমরা সক্রিয় কথোপকথন জারি রেখেছি"। ভারতে বর্তমানে ১২০ মিলিয়ন সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছে। উল্লেখ্য, অ্যাপটি আর ডাউনলোড করা যাবে না। তবে যাদের কাছে আগে থেকেই টিকটক অ্যাপ আছে তারা আপাতত ব্যবহার করতে পারবেন।
রাজগোপল বলেন, "এই অ্যাপকে একটি দুর্দান্ত হাতিয়ার হিসাবে দেখছিল ভারতীয়রা এবং তারা ক্রমাগত তাতে ভিডিও তৈরি করেছিল। আমার মনে হয় এখন আমাদের দেশে ইন্টারনেটের একটা যুগ চলছে। যা দিয়ে সকলে নিজেদের প্রকাশ্যে তুলে ধরছে। সেক্ষেত্রে টিকটক তাদের প্রতিভাকে খানিক তরান্বিত করেছে। "
আরও পড়ুন:মুখের কথায় চলবে ফেসবুক
তিনি আরও বলেন, "আমরা বুঝতে পারছি ঠিক কী কারণে সরকার এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু, টিকটক অ্যাপে নিরাপত্তা বজায় রাখতে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছিল। নিরাপত্তা কেন্দ্র এবং রক্ষাকবচ হিসাবে বিভিন্ন টুল রয়েছে অ্যাপের অন্দরমহলে। যান্ত্রিক মাধ্যমে এই অ্যাপে প্রতিনিয়ত যাচাই করে দেখা হত সমস্ত পোস্ট। বেশ কয়েকদিন আগে প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রায় ৬ মিলিয়ান অশ্লীল ভিডিও মুছে ফেলে টিকটক"।
প্ল্যাটফর্মে শিশুদের রক্ষা করার ক্ষেত্রে রাজগোপল বলেন, মেশিন লার্নিং একজন খুদে ব্যবহৃতকে সহজে চিহ্নিত করতে পারে। যত সম্ভব তাদের অপরিচিতিদের সঙ্গে যুক্ত হতে দেয় না। তিনি বলেন, টিকটক আইনী দলগুলি সরকারের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত। তবে আরও পরিকাঠামো দিকে উন্নত করার জন্য আপডেটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:মন্দার বাজারে ১৬ টাকায় ফোর জি’র সুখ; ভোডাফোন
মজার ব্যাপার হচ্ছে, গত বছর ইন্দোনেশিয়ায় কয়েক দিনের জন্য টিকটটকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কারণ যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক মনে করেছিল , কিছু ভিডিও নেতিবাচক এবং নতুন প্রজন্মের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলছে। তবে, এক সপ্তাহের মধ্যে ওই সরকার ঘোষণা করে, এটি অনুপযুক্ত পোস্ট নিরীক্ষণের জন্য সেন্সর করার ক্ষেত্রে একটি দল গঠন করা হবে পাশাপাশি নিষেধাজ্ঞাও প্রত্যাহার করা হবে।
Read the full story in English