পুরোদমে ছাঁটাই শুরু টুইটারে। সংস্থার নতুন মালিক এলন মাস্ক আগেই এই ছাঁটাই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিলেন। তবে শুক্রবার থেকে পাকাপাকিভাবে সেই পথেই হাঁটতে শুরু করছে ইলন মাস্কের মালিকানাধীন টুইটার।
জানা গিয়েছে, গতকাল থেকেই কর্মীদের ইমেল করে জানানো হবে তাঁদের চাকরি আর থাকছে কিনা। মাস্ক টুইটারের কতৃত্ব হাতে নিতেই সংস্থার তরফে বহু কর্মীকে অফিসে যেতে বারণ করা হয়। এবার পাকাপাকিভাবে তাঁদের জানানো হবে তাঁদের আর অফিসে যেতে হবে কিনা।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের দেখা একটি ইমেলে বলা হয়েছে, “টুইটারকে একটি স্বাস্থ্যকর পথে রাখার উদ্যোগ নিতেই আমরা শুক্রবার আমাদের বিশ্বব্যাপী কর্মশক্তি কমিয়ে আনার কঠিন একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাব। আজ সকাল ৯টার মধ্যে কর্মীদের ইমেল পাঠানো হবে।” এদিকে মাস্কের এই সিদ্ধান্তের পরই চূড়ান্ত সংকটে পড়েছেন কর্মচারীরা। ভারতে টুইটারের প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ কর্মী রয়েছেন। কী হবেন তাদের ভবিষ্যতের এই ভেবেই রাতের ঘুম উড়েছে তাদের।
আরও পড়ুন: < ক্রমেই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা, এবার তৃণমূল সাংসদের বাড়িতেও ডেঙ্গুর থাবা >
টুইটারের তরফে জানানো হয়েছে সংস্থার অফিসগুলি সাময়িকভাবে বন্ধ করা হবে। সব ব্যাজ অ্যাক্সেস স্থগিত রাখা হবে। সংস্থার প্রতিটি কর্মচারীর পাশাপাশি টুইটারের সিস্টেম এবং গ্রাহকদের তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই তৎপরতা নেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটির তরফে আরও জানানো হয়েছে, কর্মীদের কাদের কাদের চাকরি গেল তা তাঁদের ইমেল করে জানানো হবে। তবে যে কর্মীদের ছাঁটাই করা হয়েছে তাঁদের ব্যক্তিগত ইমেলে পরবর্তী পদক্ষেপের কথাও জানানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
টুইটারের মালিকানাধীন হাতে নিয়ে শুরুতেই কর্মী ছাঁটাইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন এলন মাস্ক। খরচ কমানো ও গ্রাহক সুরক্ষার স্বার্থেই টুইটারে একগুচ্ছ নয়া নীতি চালুর পথ নেন মাস্ক। ইতিমধ্যেই সংস্থার শীর্ষ পদে থাকা কর্মীদের বরখাস্ত করেছেন মাস্ক।
এছাড়াও টুইটারের শীর্ষ কর্তাদের অধিকাংশকেই বরখাস্ত করা হয়েছে। টুইটারের কর্মীদের একটি ইমেল পাঠানো হয়। একসঙ্গে কয়েকশো কর্মীকে বিদায় জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার ইমেল করে ওই কর্মীদের টুইটারে পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “আপনি যদি অফিসে থাকেন বা অফিসে যাওয়ার পথেও থাকেন তবে দয়া করে বাড়িতে ফিরে আসুন।”
টুইটার ভারতে ছাঁটাইয়ের সঠিক পরিমাণ এবং কর্মচারীদের ভবিষ্যত সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তর দেয়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, শুক্রবারের গণ ছাঁটাইকে চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে ছাঁটাইয়ের ৬০ দিন আগে সংশ্লিষ্ট কর্মীকে নোটিস দিতে হবে। একাধিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে সংস্থা ইতিমধ্যে তার কর্মচারীর সংখ্যা কমিয়ে অর্ধেকে নিয়ে আনার পথেই এগোতে চলেছে।