কেন্দ্রের চরম পত্রেই কাজ হল! ভারতের নয়া ডিজিটাল আইন মানতে রাজি টুইটার। সূত্রের খবর, নয়া আইন মানে চলার ক্ষেত্রে সম্মতি জানিয়ে কেন্দ্রের কাছ থেকে সময় চেয়েছে টুইটার। তবে, অতিমারি পরিস্থিতির কারণেই মাইক্রো ব্লগিং সাইটির তরফে এই সময় চেয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে সূত্র জানিয়েছে যে, 'ভারতের ডিজিটাল আইন মেনে নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই বলে কেন্দ্রকে জানিয়েছে টুইটার। তবে, এর জন্য আরেকটু সময় দাবি চেয়ে নেওয়া হয়েছে। অতিমারির কারণেই এই সয়য় চেয়ে নেওয়া হয়েছে।'
গত সপ্তাহেই টুইটারকে শেষ চরম পত্র দিয়েছিল কেন্দ্র। যেখানে উল্লেখ ছিল, এই চিঠিই শেষ নোটিস। ভারতের আইন টুইটারকে অবশ্যই মানতে হবে। আইন লংঘনের বিষয়টি ভারতীয়দের সুরক্ষা ও গোপনীয়তা রক্ষার ক্ষেত্রে স্বার্থহানি বলেই বিবেচিত হবে। আইন না মানা হলে টুইটারের বিরুদ্ধে সবধরণের পদক্ষেপ করবে কেন্দ্র। এরপরই সুর নরম করল কেন্দ্র। নয়া ডিজিটাল আইন মানতে তারা রাজি বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন- প্রতিপক্ষকে ঘুষ খাইয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার! রাজ্য বিজেপি সভাপতির বিরুদ্ধে FIR
কেন্দ্রের এই চরম পত্রের পরই টুইটারের মুখপাত্র সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিল যে, ভারতের আইন মেনে চলার ক্ষেত্রে মার্কিন এই সংস্থা সবসময় প্রস্তুত। কেন্দ্রের সঙ্গে এই ইস্যুতে আলোচনারও আশ্বাস দেয় টুইটার।
কেন্দ্রীয় নয়া ডিজিটাল আইন অনুসারে, প্রত্যেক সংস্থাকে তাদের ভারতে থাকা দফতরের ঠিকানা, যোগাযোগ নম্বর, দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের নম্বর কেন্দ্রকে জানাতে হবে। ভারতে কমপ্লায়েন্স আধিকারিক নিয়োগ করতে হবে, যে কোনও অভিযোগের সমাধান করতে হবে, আপত্তিকর কন্টেন্টের ওপর সর্বদা নজরদারি চালাতে হবে, আপত্তিকর কন্টেন্ট মুছে ফেলতে হবে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম সহ যেসব ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলির ব্যবহারকারী ৫০ লক্ষের বেশি-তাদের একটি ছাতার তলায় এনে নিয়ন্ত্রণ আরোপে এই নির্দেশ দেয় মোদী সরকার। তবে এই নিয়ম মেনে নেওয়ার শেষ সময়সীমা নির্দেশিকায় ছিল না।
ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপও কেন্দ্রের নয়া ডিজিটাল নীতি মানতে সম্মতি দিয়েছে। কিন্তু, এই নীতির প্রতিবাদ জানায় টুইটার। সংস্থা জানিয়েছিল ভারতীয় নীতি ‘মানুষের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ’। তবে কেন্দ্রের চরম পত্রের পর অনড় মনোভাব থেকে সংস্থাটি সরে এল বলেই মনে করা হচ্ছে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন