পৃথিবীবাসী সাক্ষী থেকেছে নানান মহাজাগতিক ঘটনার। ঠিক সেরকমই আজ সন্ধ্যে সাতটার পরে, পৃথিবীর দুই কাছের গ্রহ শুক্র এবং মঙ্গলের সংযোগ ঘটতে চলেছে। যদিও বা একে গ্রহাত্বক সংমিশ্রণ বলা হয়, অর্থাৎ জ্যোতির্বিদ্যার ভাষায় শুক্র, চন্দ্র এবং মঙ্গল পরস্পরের সঙ্গে ক্ষণস্থায়ী হবে।
সম্পূর্ণ ঘটনাটি খালি চোখে পৃথিবী থেকে দৃশ্যমান। বিকেলের পর থেকেই ধীরে ধীরে গ্রহের স্থান পরিবর্তনের বিষয়টি লক্ষ্য করা যাবে, সন্ধ্যের দিকে সম্পূর্ণ স্পষ্ট হবে। পশ্চিম আকাশে সূর্যাস্তের পর থেকেই নজরে আসবে দুই গ্রহের স্থান। রঙের দ্বারা আলাদা করা যাবে দুটি গ্রহকে। শুক্র আপাতভাবে মঙ্গলের থেকে বেশি উজ্জ্বল হবে, রং থাকবে সাদা বা শুভ্র এবং মঙ্গলের রং হবে রুবি লাল।
দুই গ্রহের মধ্যে ০.৫ ডিগ্রি দূরত্ব বা একটি আঙ্গুলের প্রস্থ সমান দূরত্ব বজায় থাকবে। তার সঙ্গে সঙ্গে চাঁদের একটি পাতলা আস্তরণ দেখা যাবে। আগামীকাল থেকে শুক্র, প্রতিনিয়ত মঙ্গলের থেকে একটু করে বাম দিকে সরে যেতে থাকবে। এর আগের শুক্র এবং মঙ্গলের সহাবস্থান ঘটেছিল ২৪ আগস্ট, ২০১৯ সালে এবং পরবর্তী সহাবস্থান ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সালে সম্পন্ন হবে।
আরও পড়ুন প্রবল গতিতে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে সৌর ঝড়! মহাপ্রলয়ের আশঙ্কা
ইন্টার ইউনিভার্সিটি সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোনমি এন্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স (আইইউসিএ) এবং বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অ্যাস্ট্রো ফিজিক্সের তরফ থেকে এই শুক্র এবং মঙ্গলের সংযোগের জন্য ফটোগ্রাফিক এন্ট্রির আয়োজন করা হয়েছে। শ্রেষ্ঠ আলোকচিত্রটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হবে।
গতমাসে, নাসার তরফ থেকে শুক্রের মহাকাশ গবেষণার সিদ্ধান্ত প্রেরণ করা হয়েছে ,তার নাম দেওয়া হয়েছে দা ভিঞ্চি এবং ভেরিতাস! দুটি মিশনের জন্য প্রতিটির জন্য ৫০০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে। যতদূর সম্ভব ২০২৮-২০৩০ এর মধ্যে সেই কাজ সম্পন্ন হবে। তাহলে, সন্ধেবেলা পশ্চিম আকাশে, ফোকাস আর নজর কিন্তু রাখতেই হবে!
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন