রবিবার শ্রীহরিকোটা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি স্যাটেলাইট বয়ে নিয়ে যায় ইসরোর PSLV-C42 (পোলার স্যাটালাইট লঞ্চ ভেইকেল-C42)। এই মিশনের স্যাটালাইট দুটির নাম - NovaSAR এবং S1-4। PSLV-C42 রকেটটি সূর্যের সমান্তরাল কক্ষপথ অবধি পৌছে দেবে ওই দুই স্যাটেলাইটকে। এই কক্ষপথ থেকে উপগ্রহগুলি সাধারণত পরিদর্শন করবে এবং আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেবে।
PSLV-C42 পিএসএলভির সবচেয়ে হালকা যান এবং ছয়টি স্ট্র্যাপ-অন মোটর ছাড়াই এটি মহাশূন্যে উড়ে যেতে সক্ষম।
ইসরো উল্লেখ করেছে যে NovaSAR পৃথিবীতে অবস্থিত বনের ম্যাপ গঠন, ভূমির ব্যবহার এবং বরফ ঢাকা অংশ পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি বন্যা এবং দুর্যোগ পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে, অন্যদিকে S1-4 একটি উচ্চ-রেজোলিউশন উপগ্রহ। যা পরিবেশ পর্যবেক্ষণ, নগর ব্যবস্থাপনা এবং দুর্যোগ জরিপের জন্য ব্যবহার করা হবে।
PSLV-C42 উৎক্ষেপনের ১৭ মিনিট ৪৫ সেকেন্ড পর মহাশূন্যে পৃথিবী থেকে ৫৮৩ কিমি দুরে সূর্য-সমান্তরাল কক্ষপথে স্থাপন করেছে দুই উপগ্রহ।
ইসরো চেয়ারম্যান কে সিভান পিটিআইকে বলেন যে মিশন সফল হয়েছে এবং এই মিশনে জড়িত বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। PSLV-C42 দুটি উপগ্রহ বহন করে কক্ষপথে সঠিকভাবে পৌছে দিয়েছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে ১০ টি স্যাটেলাইট মিশনের জন্য আটটি রকেট লঞ্চ করা হবে - প্রতি দু'সপ্তাহে একটি করে।
এ বছরের শেষে অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে উৎক্ষেপন করা হবে GSAT-11 স্যাটেলাইট। যেটিকে পরীক্ষামূলক ভাবে উৎক্ষেপন করা হয়েছিল ফ্রেঞ্চ গায়ানার আরিয়ানেস্পেসের রকেট পোর্ট থেকে। আপাতত এটিকে চলতি বছরের শেষে আরিয়ানের কক্ষপথে পৌঁছান যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইসরো থেকে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের শেষটা ইসরোর কাছে খুবই গুরুত্বপুর্ণ সময়। কারণ এই সময় চারটে রকেট উৎক্ষেপন করা হবে – পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল (PSLV), এবং জিওসিংক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল (GSLV Mk II এবং Mk III)।