K-4 Ballistic Missile : ভারতীয় নৌবাহিনী তার পারমাণু অস্ত্র বহনকারী সাবমেরিন আইএনএস আরিঘাট থেকে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ করেছে। ৬৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভূল আঘাত হানতে পারে এই ব্যালিস্টিক মিসাইল। নয়া এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের নাম K-4। ভারতের শক্তি দেখে থরহরি কম্প দশা চিন-পাকিস্তান-বাংলাদেশের। আজকের এই প্রতিবেদনে জেনে নেওয়া যাক K-4 ব্যালিস্টিক মিসাইলে কী কী অত্যাধুনিক ফিচার রয়েছে?
ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) অত্যাধুনিক এই K-4 ব্যালিস্টিক মিসাইল তৈরি করেছে। এই ক্ষেপণাস্ত্র আইএনএস আরিঘাটে মোতায়েন করা হয়েছে। ভারত ছাড়াও আমেরিকা, রাশিয়া এবং চিনের কাছে পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র বহনক্ষম ডুবোজাহাজ রয়েছে।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, K-4 হল একটি SLBM ক্ষেপণাস্ত্র, যার অর্থ সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণ করা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। বিশ্বের যেসব দেশে SLBM ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ভারত, আমেরিকা, ফ্রান্স, রাশিয়া, ব্রিটেন, চিন । K-4 ছাড়াও ভারতের কাছে K-14 SLBM ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, যার যেটি ১৫০০ কিলোমিটার দূরে নির্ভূল লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারে । এটি ভারতের সামরিক ক্ষমতাকে দ্বিগুণ শক্তিশালী করবে।
আরিঘাট সাবমেরিন থেকে K-4 ব্যালেস্টিক ক্ষেপনাস্ত্রের সফল পরীক্ষা হয়। আরিঘাট হল একটি পরমাণু অস্ত্র বহনকারী সাবমেরিন। ২০১৭ সালে এটি ভারতের নৌবাহিনীর হাতে আসে। খুব তাড়াতাড়ি এই সাবমেরিনের আপগ্রেড ভার্সন নৌবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আরিঘাট বিশাখাপত্তনমে ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজ নির্মাণ কেন্দ্রে নির্মিত হয়েছিল। এর ওজন প্রায় ৬০ হাজার কুইন্টাল।
সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, আরিঘাট সাবমেরিনের মাধ্যমে ভারত তার শত্রু দেশগুলোকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে লক্ষ্যবস্তু করতে পারে। এই সাবমেরিন সমুদ্রের নিচ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে পারে। পারমাণবিক শক্তিধর দেশ বলে দাবি করলেও পাকিস্তানের এখনও এরকম ক্ষমতা নেই।