Advertisment

Pegasus-এর অপব্যবহার বন্ধের পক্ষে জোরালো সওয়াল WhatsApp প্রধানের

Project Pegasus Spyware: একই সঙ্গে পেগাসাস স্পাইওয়্যার প্রস্তুতকারী সংস্থা এনএসওকে (NSO) জবাবদিহি করতে অনুরোধ জানান।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
WhatsApp

প্রতীকী ছবি

পেগাসাসের অপব্যবহার বন্ধ করতে সরকারের উচিত অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ করা। তথ্যের অধিকার সুরক্ষিত করা এবং মানবাধিকার যাতে কোনও ভাবেই লঙ্ঘিত না হয়, সরকারের উচিত সেই বিষয়টি সুনিশ্চিত করা। বললেন WhatsApp প্রধান উইল ক্যাথকার্ট।

Advertisment

গতকাল তিনি একটি টুইট করে বলেন, আন্তর্জাতিক মিডিয়া গুলির যৌথ রিপোর্টে পেগাসাস সম্পর্কিত যে তথ্য তুলে ধরা হয়েছে সেটি খুবই উদ্বেগের একই সঙ্গে তিনি বলেন যেভাবে পেগাসাসের অপব্যবহার করা হয়েছে, তা সাধারণের তথ্যের অধিকার একই সঙ্গে মানবাধিকারের মোত মৌলিক অধিকারের বিষয়টিকেও প্রশ্নের মুখে তুলে দিয়েছে। সরকারকে অবিলম্বে পেগাসাসের অপব্যবহার বন্ধ করতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার আর্জি জানান ক্যাথকার্ট।

২০১২ সালে, হোয়াটসঅ্যাপ ডিভাইসগুলিতে পেগাসাসের অস্তিত্ব উপলব্ধি করে ইজরায়েলের এনএসও (NSO) গ্রুপের বিরুদ্ধে একটি মামলাও করেছিল। পেগাসাস স্পাইওয়ারটি মুলত WhatsApp-এ পাঠানো লিঙ্কের মধ্য দিয়ে স্মার্ট ডিভাইসে প্রবেশ করানো হয় বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, এই বিষয়ে ক্যাথকার্টের মন্তব্য যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

ক্যাথকার্ট, এদিন একটি দীর্ঘ টুইটে মানবাধিকার রক্ষাকারী সংগঠন, প্রযুক্তি সংস্থা এবং সরকারকে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা বাড়াতে, একই সঙ্গে পেগাসাস স্পাইওয়্যার প্রস্তুতকারী সংস্থা এনএসওকে (NSO) জবাবদিহি করতে অনুরোধ জানান। ‘ভয়ঙ্কর মানবাধিকার লঙ্ঘন’ করার জন্য পেগাসাসের ব্যবহার অবশ্যই বন্ধ করা উচিত, বলেন হোয়াটসঅ্যাপ চিফ। তিনি তাঁর টুইটে বলেন, “মোবাইল কোটি কোটি মানুষের প্রাথমিক কম্পিউটার। সরকার এবং সংস্থাগুলির উচিত সেগুলিকে যথাসম্ভব সুরক্ষিত রাখা”।

আরও পড়ুন “আপ ক্রোনোলজি সমঝিয়ে!”, পেগাসাস বিতর্কে বিরোধীদের কড়া আক্রমণ অমিত শাহের

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পেগাসাস স্পাইওয়্যারকে হাতিয়ার করে আড়ি পাতা হয়েছে ১৮০ জন সাংবাদিকের ফোন, এছাড়াও বিশ্বে প্রায় ৫০,০০০ ফোনে আড়ি পাতা হয়েছে বলে গতকাল এক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদপত্র “দ্য গার্ডিয়ান”। ইতালীয় এক সংস্থা দিয়ে এই কাজ করানো হয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও ক্যাথকার্ট বলেন “রিপোর্টে যে পরিসংখ্যা উল্লিখিত আছে বাস্তবে সংখ্যাটি আরও বেশি”। ভারতে যে ১৩টি আইফোন পরীক্ষা করা হয়, তার মধ্যে ৯টি ফোনে আড়িপাতার প্রমাণ মেলে। ৭টির মধ্যে স্পাইওয়্যারের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।

অপর দিকে অন্য আরেক নিউজ ওয়েবসাইট “The Wire” দাবি করেছে ২০১৮-২০১৯ এই এক বছরের মধ্যে ভারতে প্রায়, ৩০০টিরও বেশি ফোনে আড়ি পাতা হয়েছে। ৪০ জনেরও বেশি সাংবাদিক রয়েছেন এই তালিকায়। এছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার সাথে যুক্ত আইনজীবী, কেন্দ্রীয় সরকারের দুই মন্ত্রী সহ একাধিক প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তি রয়েছেন। ৪০ জনেরও বেশি সাংবাদিকের মধ্যে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের তিন সম্পাদকও আছেন (একজন অবসরপ্রাপ্ত, দুজন বর্তমান)।

আরও পড়ুন পেগাসাস স্পাইওয়্যার: অভিষেক-পিকের ফোনেও নজরদারি! তালিকায় আরও হেভিওয়েট

পেগাসাস স্পাইওয়্যার এক ধরনের ম্যালওয়্যার। সাইবার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এটি ব্যবহার করে একসঙ্গে একাধিক ব্যক্তির ফোন, ল্যাপটপে থাকা যাবতীয় তথ্য হাতিয়ে নেওয়া যেতে পারে। যে কোনও আইফোন বা অ্যান্ড্রয়েড থেকে মেসেজ, ফোটো, ইমেল, কল রেকর্ড, চ্যাট হাতিয়ে নিতে পারে এই পেগাসাস। শুধু তাই নয় এটি গোপনে চালু করে দিতে পারে ফোনের মাইক্রোফোন ও ক্যামেরা।

রিপোর্টে জানা গেছে, মুলত হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেজ ইত্যাদির মধ্যে দিয়ে পাঠানো একটি লিঙ্কের সাহায্যে পেগাসাসকে ডিভাইসে প্রবেশ করানো হয়। শুধুমাত্র যে স্মার্টফোন তাই নয়, এই স্পাইওয়্যার অনেক ল্যাপটপেও তথ্য জানতে পাঠানো হয়েছে। তবে মিডিয়াগুলির যৌথ তদন্ত এবং ২০১২ সালে যে তথ্য পাওয়া গেছে তাতে দেখা যায় যে, স্পাইওয়্যারটি কোনও ‘অপরাধী ব্যাকগ্রাউন্ড’ ছাড়াই বুদ্ধিজীবীদের টার্গেট করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। কেন এই স্পাইওয়্যারটি সমাজের বিশিষ্টজনের ওপর নজরদারিতে ব্যবহার করা হয়েছিল সেই প্রশ্নও এদিন তাঁর টুইটে তোলেন হোয়াটসঅ্যাপ প্রধান।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Whatsapp Project pegasus
Advertisment