Cyber Security: হোয়াটসঅ্যাপে ছবি ডাউনলোড করলেই খোয়া যাচ্ছে টাকা! ভারতে বেড়েই চলেছে 'স্টেগানোগ্রাফি' প্রতারণা। ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ইতিমধ্যেই ৫০ কোটির গণ্ডি ছাড়িয়েছে। কিন্তু এই জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপই এখন হয়ে উঠেছে সাইবার অপরাধীদের নতুন অস্ত্র। সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপ মারফত একটি সাধারণ ছবি ডাউনলোড করার পরে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ২ লক্ষ টাকা উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুর থেকে।
ছবির মধ্যে লুকিয়ে থাকে ভাইরাস! কীভাবে ঘটে প্রতারণা?
এই প্রতারণার কৌশলকে বলা হয় স্টেগানোগ্রাফি। এর মাধ্যমে ম্যালওয়্যার লুকিয়ে রাখা হয় একেবারে সাধারণ JPG, PNG, MP3 বা MP4 ফাইলের ভেতর। ব্যবহারকারী যখন এই ফাইল ডাউনলোড করেন, তখন অজান্তেই সেই ভাইরাস বা কোড মোবাইল ফোনে ইনস্টল হয়ে যায়। এরপর সেটি ডিভাইস থেকে পাসওয়ার্ড, OTP, ব্যাঙ্ক অ্যাক্সেস-সহ যাবতীয় তথ্য হ্যাকারদের কাছে পাঠিয়ে দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের ম্যালওয়্যার বেশিরভাগ অ্যান্টিভাইরাসেও ধরা পড়ে না। ফলে ব্যবহারকারীরা বুঝতেই পারেন না যে তাদের ডিভাইস কখন ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে।
কীভাবে নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন?
হোয়াটসঅ্যাপ এবিষয়ে নিরাপত্তা জোরদার করলেও ব্যবহারকারীদেরই সাবধান হতে হবে।
সতর্কতামূলক পদক্ষেপ:
হোয়াটসঅ্যাপ সেটিংস > Storage and Data > Media auto-download বন্ধ করে দিন। অজানা নম্বর থেকে আসা ছবি, ভিডিও ডাউনলোড বা ওপেন করবেন না।
গ্রুপ সেটিংসে গিয়ে “Who can add me to groups” > “My Contacts” অপশনটি বেছে নিন। হোয়াটসঅ্যাপে কখনও OTP, ব্যাঙ্ক ডিটেলস শেয়ার করবেন না। সন্দেহজনক নম্বর ব্লক ও রিপোর্ট করুন অবিলম্বে।
কেন এত বিপজ্জনক এই প্রতারণা?
এই ধরনের সাইবার প্রতারণার ঘটনা এতটাই নিখুঁতভাবে করা হয়, যাতে তা সাধারণ ভাবে সহজেই মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়। ছবির মাধ্যমে ভাইরাস ছড়ানো নতুন কৌশল হওয়ায় বহু সাধারণ ব্যবহারকারী এই ফাঁদে পড়ে যাচ্ছেন।
ভারতের সাইবার অপরাধের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী
সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ভারতে প্রতিদিন গড়ে হাজার হাজার মানুষ সাইবার প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রাম-সহ নানা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে এখন সাইবার অপরাধীরা একাধিক নতুন পদ্ধতি প্রয়োগ করছে।