দেশে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে 5G মোবাইল পরিষেবা। 5G মোবাইল পরিষেবার ট্রায়াল শুরু হয়েছে দেশের একাধিক বড় শহরে। দিল্লির প্রগতি ময়দানে অনুষ্ঠিত 'ইন্ডিয়ান মোবাইল কংগ্রেস' এ-5G মোবাইল পরিষেবা শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। 5G এর চালুর সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারনেট স্পিড (5G ইন্টারনেট গতি) 4G এর তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বৃদ্ধি পাবে। Airtel 5G দিল্লি, মুম্বাই, বারানসি, চেন্নাই, ব্যাঙ্গালোর সহ দেশের ৮ টি শহরে 5G পরিষেবা চালু করেছে। Reliance Jio 5G ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সমস্ত ভারতীয়দের কাছে 5G পরিষেবা নিয়ে আসবে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে। 5G লঞ্চের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবহারকারীদের মনে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
যদিও বেশিরভাগ ব্যবহারকারী 5G পরিষেবার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন, কেউ কেউ তাদের পুরানো মোবাইল ফোন এবং 2G, 3G, 4G পরিষেবা সম্পর্কিত সমস্যাগুলি নিয়ে চিন্তিত৷ 5G পরিষেবা পুরোদমে চালু হলেও সকল 2G, 3G এবং 4G স্মার্ট ফোনে ভয়েস এবং ডেটা পরিষেবা একই থাকবে। গ্রাহকরা একই সুবিধা ভোগ করবেন তাদের আগের 2G, 3G এবং 4G স্মার্ট ফোনে। সেক্ষেত্রে ডেটা অথবা ভয়েস কলের কোন পরিবর্তন হবে না। ভবিষ্যতে, যদি কোনও অপারেটর তার 2G বা 3G নেটওয়ার্ক বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়, তবেই পরিষেবাগুলি স্থগিত হবে নচেৎ নয়। 4G নেটওয়ার্ক এখন যেমন চালু আছে তেমনই চালু থাকবে। বর্তমানে টেলিকম সংস্থাগুলোর এই 4G পরিষেবা বন্ধ করার কোনও পরিকল্পনা নেই।
আপনি যদি 5G অভিজ্ঞতা পেতে চান তাহলে আপনাকে একটি 5G সাপোর্টেড মোবাইল ফোন কিনতে হবে। বর্তমান 4G ডিভাইসে 5G পরিষেবার সুবিধা পাওয়া সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে মনে রাখা দরকার আপনার মোবাইলে 4G স্পিডের কোন পরিবর্তন হবে না 5G পরিষেবা চালু হওয়ার ফলে। এটাও মনে রাখা দরকার আপনি আপনার 4G স্মার্ট ফোনকে 5G-তে আপগ্রেড করতে পারবেন না 5G পরিষেবা পাওয়ার জন্য। এই পরিষেবা পেতে আপনাকে শুধুমাত্র 5G নেটওয়ার্ক সাপোর্টেড একটি মোবাইল কিনতে হবে। তথ্য অনুসারে বর্তমানে ভারতে প্রায় ৫০ লক্ষ 5G স্মার্টফোন বাজারে উপলব্ধ। আগামী দিনে এই সংখ্যা দ্রুত বাড়বে বলেই জানা গিয়েছে । বর্তমানে বাজারে 5G ফোনের অনেক মডেল সহজেই পাওয়া যায়। বেশিরভাগ ব্র্যান্ড ইতিমধ্যেই তাদের 5G এনাবেল হ্যান্ডসেট বাজারে নিয়ে এসেছে।
আরও পড়ুন: < ট্রায়ালেই বাজিমাত! দিল্লিতে রেকর্ড ডাউনলোড স্পিড জিও’র, পিছিয়ে নেই কলকাতাও >
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে 4G পরিষেবা চালু হওয়ার পর 5G সাপোর্টেড প্রতিটি ডিভাইসে ইন্টারনেটের স্পিড ১০ থেকে ১৫ গুন বৃদ্ধি পাবে। 4K ভিডিওতে এর প্রভাব দেখতে পাবেন ইউজাররা। ভিডিওগুলি সহজেই 5G দিয়ে স্ট্রিম করা যাবে বলেই খবর। এর পাশাপাশি ডাটা ট্রান্সফারও সহজে হবে। আমরা আপনাকে জানিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বাজারে 5G ফোন উপলব্ধ। এমন পরিস্থিতিতে যদি কোনও ব্যবহারকারীর কাছে 4G সাপোর্টেড স্মার্ট ফোন থাকে, তবে তিনি 5G পরিষেবার সুবিধা পেতে পারবেন না। এর জন্য আপনাকে 5G এনাবেল হ্যান্ডসেট কিনতে হবে। আপনাকে যা করতে হবে তা হল আপনার সিম কার্ডকে 4G থেকে 5G-তে আপগ্রেড করতে হবে৷
5G পরিষেবা চালু হলেও 4G নিয়ে আপনার এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই। 3G আসার পর 2G সাপোর্টেড ফোনের ক্ষেত্রে যেমনটা হয়েছিল। 5G এর ক্ষেত্রেও ঠিক তেমনটাই হবে। 5G পরিষেবায় স্পিড 4G-তুলনায় ১০ থেকে ১৫ গুণ বৃদ্ধি পাবে। আপনার 4G হ্যান্ডসেট আগের মতই কাজ করবে যেমনটি 4G পরিষেবা আসার পরে 3G সাপোর্টেড স্মার্ট ফোনগুলি কাজ করেছিল।