AC Summer Safety Tips: প্রচণ্ড গরমে রেহাই পেতে এয়ার কন্ডিশনার বা এসি এখন আর বিলাসিতা নয়, বরং অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে মে থেকে জুলাই মাসে যখন ফ্যান ও কুলার কার্যত সেভাবে কাজ করে না, তখন একমাত্র ভরসা হয়ে ওঠে এসি। কিন্তু এই স্বস্তির ইলেকট্রনিক যন্ত্রটি যদি হঠাৎ করে খারাপ হয়ে যায়, তাহলে বাড়তে পারে ভোগান্তি। অনেকেই এসির নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ বা সার্ভিসিংয়ের প্রতি সেভাবে নজর দেন না, ফলে বহু দামি এসি সময়ের আগেই অকেজো হয়ে পড়ে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গরমে এসি যাতে ঠিকভাবে কাজ করে এবং তার কুলিং ক্ষমতা বজায় থাকে, তার জন্য সময়মতো সার্ভিস করানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় অতিরিক্ত ব্যবহার, ফিল্টারে ধুলো জমা, গ্যাস লিকেজ বা কম্প্রেসারের অতিরিক্ত চাপের কারণে এসি বিকল হয়ে যায়। এমনকি, সম্প্রতি এসি বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছে, যার মূল কারণ হিসেবে ধরা পড়েছে অনিয়মিত সার্ভিসিং।
কত ঘন্টা ব্যবহারের পর এসির সার্ভিসিং করানো উচিত?
আপনার এসি যদি নিয়মিত চলে, বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে টানা অনেক ঘন্টা ব্যবহার হয়, তাহলে প্রতি ৬০০ থেকে ৭০০ ঘন্টা ব্যবহারের পর অন্তত একবার সার্ভিস করানো উচিত। অনেক ব্যবহারকারী এই তথ্যটি জানেন না, যার ফলে এসির আয়ু কমে যায় এবং বিপদজনক পরিস্থিতিও তৈরি হয়।
গরমে এসি ব্যবহারের সময় কী কী বিষয়ে সতর্ক থাকবেন?
- ১০-১২ ঘন্টার বেশি একটানা এসি চালাবেন না – এতে কম্প্রেসারের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে, যা যন্ত্রাংশের ক্ষতি করতে পারে।
- গ্যাস লিকেজ পরীক্ষা করুন – দীর্ঘ সময় ব্যবহারের পরে গ্যাস লিকেজ হতে পারে, যা কুলিং কমিয়ে দেয়।
- ফিল্টার নিয়মিত পরিষ্কার করুন – ধুলো জমলে কুলিং কমে যায় এবং বাতাসে জীবাণু ছড়াতে পারে।
- বাইরের ইউনিট ছায়ায় রাখুন – এসির আউটডোর ইউনিট এমন স্থানে রাখুন যেখানে সরাসরি রোদ পড়ে না। এতে কম চাপ পড়ে যন্ত্রে।
- ২৪ ডিগ্রিতে এসি চালান – এতে কুলিংও ঠিক থাকবে, আবার বিদ্যুৎ বিলও বেশি আসবে না।
পরিসংখ্যান বলছে গত বছরের তুলনায় চলতি বছর এসির বিক্রি বেড়েছে প্রায় ৩৫-৪০ শতাংশ। অনেকেই গরম থেকে রেহাই পেতে এসি কিনছেন ঠিকই কিন্তু জানেন না কোন গ্যাস এসির জন্য ভালো।
এয়ার কন্ডিশনারে প্রধানত তিন ধরনের গ্যাস ব্যবহার করা হয়। এই গ্যাসগুলো হল R-22, R-410A, R-32। এ ছাড়া আরও অনেক গ্যাস এয়ার কন্ডিশনারে ব্যবহার করা হয়। সাধারণত 800 থেকে 1200 গ্রাম গ্যাস AC তে ব্যবহার করা হয়। একটি এয়ার কন্ডিশনার এর কম্প্রেসারে যে পরিমাণ গ্যাস লাগে তা নির্ভর করে কত টনের এসি, মডেল এবং ব্যবহৃত রেফ্রিজারেন্টের ধরণের উপর।
কিন্তু দেখা গেছে, এয়ার কন্ডিশনার মেকানিকরা এসি-তে গ্যাস রিফিলিংয়ের জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে যথেচ্ছ দাম নেয়। তাই আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি এসির গ্যাসের প্রকারভেদ এবং এয়ার কন্ডিশনার ধারণক্ষমতা অনুযায়ী এর দাম সম্পর্কে বিশদ তথ্য।
সাধারণত, ভারতে এয়ার কন্ডিশনারগুলিতে তিনটি প্রধান ধরণের গ্যাস ব্যবহৃত হয়। এই গ্যাসগুলো হল R-22, R-410A, R-32। সাধারণত 800 থেকে 1200 গ্রাম গ্যাসের প্রয়োজন হয় এসিতে। গ্যাসের ক্ষমতাও এয়ার কন্ডিশনার এবং কোম্পানির ক্ষমতার উপর নির্ভর করে।
কোন গ্যাস এয়ার কন্ডিশনার জন্য ভাল?
বিভিন্ন রেফ্রিজারেন্টের দাম আলাদা। উদাহরণস্বরূপ, R-22 গ্যাস R-410A এর চেয়ে সস্তা, কিন্তু কম পরিবেশ বান্ধব। এয়ার কন্ডিশনার গ্যাসের দাম বর্তমান বাজার মূল্যের উপর নির্ভর করে। সাধারণত গ্যাসের দাম প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৮০০ টাকা হতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ, একটি সাধারণ 1.5 টন এসি-তে প্রায় ১.২ থেকে ১.৫ কেজি গ্যাসের প্রয়োজন হতে পারে। যদি গ্যাসের দাম প্রতি কেজি ৭০০ টাকা হয় এবং সার্ভিস চার্জ ৮০০ টাকা হয়, তাহলে মোট খরচ হতে পারে (১.৫ কেজি × ৭০০ টাকা/কেজি + ৮০০ টাকা) = ১৮৫০ টাকা। এই বিবরণগুলির উপর ভিত্তি করে, আপনি আপনার এয়ার কন্ডিশনার কম্প্রেসারে প্রয়োজনীয় তথ্য এবং গ্যাস রিফিলিংয়ের খরচ অনুমান করতে পারেন।