/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/09/ISRO-CHANDRAYAAN.jpg)
হদিশ মিলেছে বিক্রমের। তবে এখনও নিশ্চুপ বিক্রম। চাঁদের মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা গেছে তাঁকে। ইসরো জানিয়েছিল 'সফট ল্যান্ডিং' করানো যায়নি তাঁকে। তবে জারি রয়েছে চন্দ্রযান ২ এর অভিযান। যোগাযোগ করার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে ইসরো। প্রসঙ্গত, এই কঠিন পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে নাসা।
খুব কঠিন মুহূর্ত ছিল সেটি। নাসা জানিয়েছে, ভবিষ্যতে সৌরজগতের রহস্য সন্ধানে ইসরোর সাথ দেবে তারা। চাঁদের দক্ষিণ ভাগে পারি জমানো লক্ষ্য করে ও জলের সন্ধানে যে পরিকল্পনা মাফিক গবেষণার ওপর ভর করে এগিয়ে চলেছে ইসরো, তা নাসাকে অনুপ্রাণিত করেছে। আগামীদিনে সৌরজগতের রহস্য উদঘাটনে একসঙ্গে কাজ করতে চাই।
আরও পড়ুন: চাঁদের মাটিতে খোঁজ মিলল বিক্রমের
নাসার মহাকাশ বিজ্ঞানী জেরি লিনেনজার বলেন, এই অধ্যায়ের জন্য ভারতের থেকে অনেক কিছু শেখার রয়েছে। জেরি লিনেনজারের টুইটের উত্তরে ইউএই স্পেস এজেন্সি জানিয়েছে, চন্দ্রযান -২ কে চাঁদের দক্ষিণভাগে অবতরণ করাতে চেয়েছিল ভারত। সেই কর্মকান্ডে ভারত স্পেস সেক্টর নিজেদের বড় মাপের খেলোয়াড় এবং আগামীদিনে উন্নয়ন ও সাফল্যের অংশীদার হিসাবে প্রমাণিত করেছে।
ইসরো তরফে শনিবার জানানো হয়েছে, চন্দ্রযান মিশনের প্রদীপ এখনও জ্বলছে। দূরদর্শনকে দেওয়া ইসরো চেয়ারম্যান কে শিভান জানিয়েছে আগামী দুসপ্তাহের মধ্যে হারিয়ে যাওয়া ল্যান্ডারকে খুঁজে বার করা চেষ্টা করা হবে। কিন্তু দু’সপ্তাহ নয়, ৩৬ ঘণ্টার কম সময়ের মধ্যেই খোঁজ মিলল বিক্রমের।
২০০৮ সালে অনুমতি পাওয়ার পর থেকে একটু একটু করে গড়ে উঠছে চন্দ্রযান ২। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে প্রায় একশ জন সেরার সেরা মহাকাশ বিজ্ঞানী। ৯৭৮ কোটি টাকার প্রোজেক্ট এই চন্দ্রযান অভিযান।