Advertisment

চাঁদের জন্য এক দশকের মধ্যে ভয়াবহ বন্যায় ভাসবে পৃথিবী, সতর্ক করল নাসা

NASA: কিছু কিছু এলাকাতে এক মাস কিংবা তার বেশি বন্যা স্থায়ী হবে বলে পূর্বাভাস।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

নাসার সমীক্ষা অনুযায়ী, পৃথিবীতে বন্যা পরিস্থিতি চারগুণ বৃদ্ধি পাবে।

প্রাকৃতিক বিপর্যয় এবং মহাজাগতিক ঘটনার সংযোগ বহুদিনের। চাঁদের প্রভাবে জোয়ার ভাটা যেমন হয় তেমনি অমাবস্যা পূর্ণিমায় হড়পা বান, ক্রান্তীয় বন্যা, প্লাবন প্রাকৃতিক ও মহাজাগতিক সম্মিলিত বিপর্যয়ের নিদর্শন।

Advertisment

তবে নাসার সমীক্ষা অনুযায়ী, পৃথিবীতে বন্যা পরিস্থিতি চারগুণ বৃদ্ধি পাবে। চন্দ্র চক্রের প্রভাবে, জলবায়ু সংকটের সৃষ্টি যেমন হতে পারে, তার সঙ্গে সমুদ্রের জলতল বেড়ে গিয়ে বন্যার পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে বলে দাবি করছে নাসা। নাসা থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, চাঁদের কক্ষপথে নানান পরিবর্তনই পৃথিবীতে এর দুর্যোগ নিয়ে আসতে সক্ষম। ২০৩০-এর মাঝামাঝি সময় থেকেই উপকূলীয় অঞ্চলে বন্যার পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।

হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রতত্ব বিশেষজ্ঞ বিজ্ঞানীদের ধারণা অনুযায়ী, উত্তরের উপকূলীয় অঞ্চলের ভূতাত্বিক দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া সুদুরপ্রসারী, যেই কারণে ভূভাগের পরিমাণ ক্রমশই ওখানে বৃদ্ধি পাচ্ছে, জলতলের ভাগ তার সঙ্গে ক্রমবর্ধমান এবং সেই কারণেই এক যুগ পর থেকেই সেখানে বন্যার পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। যদিও পূর্বের বছরগুলোর মধ্যে, ২০১৯ সালে ৬০০-র বেশি ভরা কোটালের ফলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। মহাসাগরীয় এবং বায়ুমণ্ডলীয় উচ্চচাপ এই বন্যার মাত্রা বৃদ্ধি করেছে বলেই জানা যায়।

আরও পড়ুন প্রবল গতিতে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে সৌর ঝড়! মহাপ্রলয়ের আশঙ্কা

২০৩০ সালে কিছু কিছু এলাকাতে একমাস কিংবা তার বেশি বন্যা স্থায়ী হবে, আবার কিছু কিছু শহরে প্রায় বেশিরভাগ দিনই বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও বা সমস্ত ঘটনা মহাজাগতিক বিষয়ের উপর নির্ধারিত, অর্থাৎ চাঁদ, সূর্য এবং পৃথিবীর অবস্থানের উপর ভিত্তি করেই প্রাকৃতিক এই ঘটনা গুলি সম্পন্ন হবে। গোটা বিশ্বজুড়ে এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় জলবায়ুর মস্ত পরিবর্তন ঘটাবে বলেই দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

NASA moon
Advertisment