Car AC: গরমে গাড়িতে ওঠার আগেই করুন এই কাজ, হাড়কাঁপানো শীতলতা পাবেন ১০০% গ্যারান্টি

Car AC ton capacity, how car AC works: বর্তমান সময়ে গরমে গাড়ি চালানোর কথা ভাবলেই এসি যেন এক অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। গাড়ির এসি শুধু গরমে কেবিন ঠান্ডাই রাখে না, বরং শীতে প্রয়োজনে কেবিনকে উষ্ণ রাখারও কাজ করে। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে, একটি গাড়ির এসির ক্ষমতা কত টন এবং কীভাবে তা কাজ করে এবং ভালো থাকে।

এসিতে 'টন' শব্দের মানে কী?

‘টন’ বলতে এসির কুলিং ক্যাপাসিটিকে বোঝানো হয়। এটি মূলত ২৪ ঘণ্টায় ২২০৪ পাউন্ড বরফ গলাতে যে পরিমাণ শক্তি লাগে, সেটিই ১ টন। ১ টন মানে প্রায় ১২,০০০ BTU (British Thermal Unit)। ঘরের এসির মত, গাড়ির এসিরও একটি নির্দিষ্ট টন ক্ষমতা থাকে।

আরও পড়ুন- টাকা পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা! ভারতে ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে প্রথম কোন ১০ দেশ থেকে সবচেয়ে বেশি টাকা এল?

গাড়ির এসির টন ক্ষমতা:

গাড়ির আকার এবং তার এসি সিস্টেম অনুযায়ী টন বিভিন্ন হয়। নীচে কিছু সাধারণ গাড়ির এসির টন ক্ষমতা দেওয়া হল:

• হ্যাচব্যাক ও সেডান: সাধারণত ১ টন থেকে ১.২ টনের এসি ব্যবহৃত হয়।

• কমপ্যাক্ট SUV: এখানে এসি ক্ষমতা প্রায় ১.৩ থেকে ১.৪ টন পর্যন্ত হতে পারে।

• বড় SUV ও MPV: ডুয়াল কুলিং পয়েন্ট থাকার কারণে এসির ক্ষমতা থাকে ১.৪ থেকে ১.৫ টন পর্যন্ত।

এই ক্যাপাসিটি অনুযায়ীই এসি, গাড়িতে কেবিনের তাপমাত্রা দ্রুত কমায়।

আরও পড়ুন- বিশ্বের ১০টি সবচেয়ে দামি ঘড়ি, দাম আর তার বৈশিষ্ট্য শুনলে যে কোনও মধ্যবিত্তর মাথা ঘুরে যাবে

গাড়ির এসি কীভাবে কাজ করে?

কুলিং মোড:

1. কমপ্রেসর: এটি রেফ্রিজারেন্ট গ্যাসকে হাই-প্রেশারে কমপ্রেস করে।

2. কনডেনসার: গরম গ্যাস কনডেনসারে গিয়ে ঠান্ডা হয়ে তরলে পরিণত হয়।

3. এক্সপানশন ভাল্ভ: তরল রেফ্রিজারেন্ট এখান দিয়ে চাপ কমিয়ে ইভ্যাপোরেটরের দিকে যায়।

4. ইভ্যাপোরেটর: এখানে রেফ্রিজারেন্ট বাষ্পীভূত হয়ে কেবিনের গরম শোষণ করে, ফলে কেবিন ঠান্ডা হয়।

আরও পড়ুন- পৃথিবী ধ্বংসের পথে? বাকি বিশ্বের চেয়ে দ্রুতগতিতে গরম বাড়ছে ইউরোপে! চরম আশঙ্কা প্রকাশ বিজ্ঞানীদের

হিটিং মোড:

1. ইঞ্জিনের তাপ ব্যবহার: ইঞ্জিনের তাপ কুল্যান্টে ট্রান্সফার হয়।

2. হিটার কোর: গরম কুল্যান্ট হিটার কোরে প্রবাহিত হয়।

3. গরম হাওয়া কেবিনে প্রবাহিত হয়।

আরও পড়ুন- বিরাট ভুলেই কি বাড়ছে বিদ্যুৎ বিল, এসি চালানোর আগে পড়ুন এই প্রতিবেদন

গাড়ির এসি একটি প্রযুক্তিনির্ভর কিন্তু কার্যকরী ব্যবস্থা। এর পিছনে কাজ করে কমপ্রেসর, কনডেনসার, ইভ্যাপোরেটর-সহ একাধিক যন্ত্রাংশ। আপনি যদি জানেন আপনার গাড়ির এসি কত টনের এবং তা কীভাবে কাজ করে, তাহলে আপনি আরও ভালোভাবে কেবিন কুলিং কন্ট্রোল করতে পারবেন। এই গরমে আরামে থাকতে চাইলে, এসির সচেতন ব্যবহারে এগিয়ে থাকুন।