2025-board-year-bachao-result-tripura: ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অধীনে পরিচালিত ‘বছর বাঁচাও’ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হল। মূল বোর্ড পরীক্ষার তিন মাস পর প্রকাশিত এই ফলাফলের জেরে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক—উভয় স্তরেই পাশের হার উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে বলে জানিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
কী এই ‘বছর বাঁচাও’ পরীক্ষা?
যেসব পরীক্ষার্থী মূল বোর্ড পরীক্ষায় দুটি বিষয়ে ফেল করে, তাদের জন্যই বছর বাঁচাও পরীক্ষার সুযোগ দেয় রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পূর্বে এই পরীক্ষা 'কম্পার্টমেন্টাল' নামে পরিচিত ছিল। বর্তমানে তা আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বছর বাঁচাও পরীক্ষা’ হিসেবে চালু হয়েছে।
ত্রিপুরা রাজ্যে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই ব্যবস্থাটি কার্যকর হয়, যাতে অকৃতকার্য ছাত্রছাত্রীদের দ্বিতীয়বার বোর্ড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার সুযোগ মেলে এবং পড়াশোনার এক বছর নষ্ট না হয়।
উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল
এ বছর উচ্চমাধ্যমিকে ২,৯৯৫ জন ছাত্রছাত্রী ‘বছর বাঁচাও’ পরীক্ষার জন্য যোগ্য ছিল। পরীক্ষায় বসে ২,৭১০ জন, যাদের মধ্যে ১,৯১৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। পাশের হার: ৭০.৮১%।
মাধ্যমিকের ফলাফল
মাধ্যমিকে এই পরীক্ষার জন্য যোগ্য ছিল ৩,১৫৫ জন, পরীক্ষায় বসে ২,০৭২ জন এবং উত্তীর্ণ হয়েছে ১,৭৫৭ জন। পাশের হার: ৬৩.৩৮%।
সামগ্রিক বোর্ড পাশের হার বৃদ্ধি
মূল বোর্ড পরীক্ষার ফলাফলে এ বছর উচ্চমাধ্যমিকে পাশের হার ছিল ৭৯.২৯% এবং মাধ্যমিকে ৮৬.৫৩%।
‘বছর বাঁচাও’ পরীক্ষার ফল সংযুক্ত করার পর মোট পাশের হার দাঁড়াল—
উচ্চমাধ্যমিক: ৮৮.২৪%
মাধ্যমিক: ৯২.৫১%
বোর্ড সভাপতির বক্তব্য
ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ধনঞ্জয় গণ চৌধুরী বলেন, “আজকের ফল প্রকাশের মধ্য দিয়ে এ বছর বোর্ড পরীক্ষার সব পর্যায়ের চূড়ান্ত ফলাফল সম্পন্ন হল। মূল পরীক্ষায় উচ্চমাধ্যমিকে গত বছরের তুলনায় সামান্য উন্নতি হলেও, মাধ্যমিকে কিছুটা পিছিয়ে ছিল। তবে বছর বাঁচাও পরীক্ষার ফলে সেই ঘাটতি পূরণ হয়েছে।”