Advertisment

লকডাউনের বিয়ে নং ২

সাধ্যমত ধুমধামের কথাও ছিল। কিন্তু তারই মাঝে ভগ্নদূতের মত এসে পড়ল করোনাভাইরাস আর তার পিছু পিছু লকডাউন। একবার ওঁরা ভেবেছিলেন বিয়েটা অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতুবিই হয়ে যাবে বুঝি!

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Corona wedding

করোনা আর লকডাউনের মাঝেই জোড় বাঁধা

লকডাউনের মধ্যে জোড়ে বাঁধার দ্বিতীয় শুভ কাজ সম্পন্ন হল ত্রিপুরায়। পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার চারিপাড়া জেলার বেলাবার গ্রামে বরের বাড়ি। বরের নাম নন্দন রুদ্রপাল। কনের নাম অর্পিতা রায়।

Advertisment

নন্দনের বাড়ি পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় হলেও কর্মস্থল অন্যত্র। গোমতী জেলা। সেখানকার আম্পি থানায় কনস্টেবলের কাজ করেন তিনি। আর সেখানেই দুজনের প্রথম দেখা। এর পর কথা এগিয়েছিল যেমন এগোয়। দুই পরিবারই সম্মত হয়েছিলেন বিয়েতে। সাধ্যমত ধুমধামের কথাও ছিল। কিন্তু তারই মাঝে ভগ্নদূতের মত এসে পড়ল করোনাভাইরাস আর তার পিছু পিছু লকডাউন। একবার ওঁরা ভেবেছিলেন বিয়েটা অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতুবিই হয়ে যাবে বুঝি!

ভারতেই সবচেয়ে বেশি মানুষ জন্মাবে করোনা আবহে: ইউনিসেফ

সাংবাদিকদের নন্দন বলেন, “আমাদের বিয়ে অনেকদিন ধরে ঠিক হয়েছিল। কিন্ত তার মধ্যে লকডাউনের জন্য সমস্যা এসে পড়ল। শেষ পর্যন্ত আমরা ঠিক করি বিয়ে পিছোব না, অনুষ্ঠান কম করে করব। আমরা সবাই মাস্ক পরেছিলাম, সামাজিক দূরত্বও বজায় রাখা হয়েছিল। সরকারের যা যা নিয়ম সে সব মেনেই বিয়ে হয়েছে।”

পাত্র-পাত্রীর বাবা-মাদের ধরে বিয়েতে মোট উপস্থিতির সংখ্যা ২০ পেরোয়নি। কোনও সাউন্ড সিস্টেমও বাডেনি। শুধু অনুষ্ঠানের জন্য সামান্য ঢাক ছাড়া। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই বিয়ের অনুষ্ঠান সারেন এক পুরোহিত। এর আগে গত ২৭ এপ্রিল ত্রিপুরার উদয়পুরে সানি সূত্রধরের সঙ্গে বিয়ে হয় শুভ্রা শীলের। করোনার দিনগুলিতে ত্রিপুরায় সেটিই প্রথম বিবাহ।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

tripura Lockdown
Advertisment