Advertisment

দু’হাতে লেখাতেই সমান পারদর্শী শতাধিক পড়ুয়া, স্কুলের প্রয়াসকে কুর্নিশ নেটপাড়ার

পাঁচটি ভাষাতেও রীতিমত ওস্তাদ পড়ুয়ারা

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
singrauli school students write with both hand, singrauli children write five languages together, write five languages together with both hand in mp, Students of school in MP can write with both hands, Ambidextrous skills, Skillful with both hands, Left handed writers, Left handed batsmen"

শিশুদের ভবিষ্যৎ গঠনে স্কুল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেখানে অনেক স্কুল এখন অর্থ উপার্জনের 'মেশিনে' পরিণত হয়েছে, সেখানে মধ্যপ্রদেশের গ্রামের একটি স্কুল তাদের পড়ুয়াদের এমন প্রশিক্ষণ দিয়েছে, যা সকলের নজর কেড়েছে। প্রকৃতপক্ষে, এই স্কুলের ১০০ জন পড়ুয়া দুহাতে সমান ভাবে লিখতে পারদর্শী। শুধু তাই নয়, পাঁচটি ভাষাতেও রীতিমত ওস্তাদ পড়ুয়ারা।

Advertisment

এই স্কুলটি মধ্যপ্রদেশের সিংরাউলির বুধেলা গ্রামে অবস্থিত। এই স্কুলের নাম বীণা ভাদিনী পাবলিক স্কুল। এই বিদ্যালয়ের শতাধিক পড়ুয়া দু’হাতে সমান তালে লিখতে সক্ষম। সেই সঙ্গে ৫টি বিভিন্ন ভাষাও রপ্ত করে ফেলেছে তারা। যার মধ্যে রয়েছে হিন্দি, সংস্কৃত, ইংরেজি, উর্দু এবং স্প্যানিশ। স্কুলের তরফে দাবি করা হয়েছে যে এই স্কুলের ছাত্ররা এক মিনিটের মধ্যে ২৫০ শব্দের একটি পাঠ্য অনুবাদ করতে পারে। শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাসের পাশাপাশি এক ঘণ্টা যোগব্যায়াম ও ধ্যান শেখানো হয়।

স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র পঙ্কজ যাদব বলেন, "আগে আমি আমার ডান হাতে লিখতাম, তারপর আমি আমার বাম হাতে লিখতে শিখলাম। তৃতীয় শ্রেণিতে যখন আমি পড়ি তখন আমি দুহাতেই লিখতে পারি সমান ভাবে”। অপর এক পড়ুয়া আদর্শ কুমার বলেন, আমি যখন প্রাইমারিতে পড়তাম, তখন ডান হাতে লিখতাম, তারপর বাঁ হাতে লিখতে শিখেছি। বিদ্যালয়টি ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এখন পর্যন্ত এই স্কুল থেকে ৪৮০ জন শিক্ষার্থী স্নাতক হয়েছেন যারা দু হাতে লিখতে পারদর্শী।

আরও পড়ুন: < ঈশ্বর ভক্তির সেরা দৃষ্টান্ত! পোষ্যের ভিডিও দেখে তাজ্জব নেটপাড়া >

স্কুলের প্রধান শিক্ষক বীরাঙ্গদ শর্মা বলেন, আমরা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদের অনুপ্রেরণায় পড়ুয়াদের গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, ‘প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ, দুই হাতে সমান ভাবে লিখতে পারতেন। আমরা এটিকে অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়েছি এবং আমাদের বাচ্চাদের মধ্যে এই দক্ষতা তৈরি করতে উদ্যোগ নিয়েছি”। 

মনোবিজ্ঞানীরা পড়ুয়াদের এই দক্ষতা সম্পর্কে বলেছেন যে "আমাদের মস্তিষ্ক দুটি ভাগে বিভক্ত। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের এমনভাবে প্রশিক্ষণ দেন যাতে তারা একই সময়ে মস্তিষ্কের উভয় অংশ ব্যবহার করতে পারে, সেটাকে কাজে লাগিয়েই এমন অসম্ভবকে সম্ভব করেছে মধ্যপ্রদেশের এই স্কুল।

Madhya Pradesh viral news school Trending News
Advertisment