বয়স মাত্র ১৩! এই বয়সেই নজির গড়ল হায়দ্রাবাদের এক কিশোর। লাদাখের দুর্গম দুটি পর্বতের চূড়ায় উঠে ইতিহাস গড়ল নবম শ্রেণির ছাত্র বিশ্বনাথ কার্তিক।তার এই সাফল্যকে সেলাম ঠুকেছেন লক্ষ লক্ষ ভারতীয়।
মাত্র ১৩ বছর বয়সেই মনের অদম্য জেদকে সঙ্গী করে বিশ্বনাথ পাড়ি দেয় মার্খা উপত্যকার কাং ইয়াৎজে এবং জংগো (Kang Yatse and Dzo Jongo) পর্বতশ্রেণীতে আরোহণ অভিযান। অবশেষে শিখর ছুঁতেই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত বিশ্বনাথের পরিবার থেকে পাড়া-পড়শি।
এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিশ্বনাথ বলেন, “ আমি গত ৯ জুলাই কাং ইয়াতসে এবং জংগোতে ট্রেকিং শুরু করি এবং ২২ জুলাই তা শেষ হয়। বেস ক্যাম্প থেকে চূড়া পর্যন্ত যাত্রা একেবারেই সহজ ছিল না। প্রবল ঠাণ্ডা সেই সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া খারাপ আবহাওয়া! আমরা আমাদের এই ট্রেকিং শেষ করতে পারব কিনা তা নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। অবশেষে আমরা পেরেছি সেই শিখর ছুঁতে”।
পাশাপাশি সে আরও জানায়, “বাতাসের চাপ কমে যাওয়ার কারণে বেশ কষ্ট হলেও ফিরে আসিনি। আমি হাল ছেড়ে দিইনি। এটা আমার প্রথম অভিজ্ঞতা। আমি চেয়েছিলাম এটা আজীবন স্মরণীয় করা রাখতে”।
আরও পড়ুন: <৫ টাকার বিস্কুটের সঙ্গে এক কাপ চা! শিল্পপতির ছবি মন ছুঁয়ে গেল লাখ মানুষের>
দুর্গম পথে গাইডদের প্রশংসা করে বিশ্বনাথ জানান, “ ভরত এবং রোমিলকে ধন্যবাদ! ওদের জন্য আমি এই অভিযান সম্পূর্ণ করতে পেরেছি”। ছেলের এই সাফল্যে বেজায় খুশি মা।
অন্যদিকে ছেলের কথায়, “মা আমার অনুপ্রেরণা। মা সব সময় আমাকে এগিয়ে যেতে সাহস জুগিয়েছে”। দীর্ঘ পথে মায়ের হাতের রান্নাই ছিল বিশ্বনাথের সঙ্গী। তার কথায়, আমার এই অভিযানের জন্য মা বিশেষ সব রান্না করে দিয়েছিল যেগুলো খুবই খুব পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু”।
ভবিষ্যতে সেনাবাহিনীতে যোগদান করার ইচ্ছা ছোট বিশ্বনাথের। এদিকে ভাইয়ের এই সাফল্যে খুশি বোন বৈষ্ণবীও। তার কথায়, “ছোট থেকেই ভাইয়ের চেষ্টা থাকলেও অনেকবার ব্যর্থ হয়েছে। তবুও ও হাল ছাড়েনি। আজ ওর সাফল্য দেখে খুবই ভাল লাগছে। অপরদিকে বিশ্বনাথের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী কোচ ভরতও।