Baba Ka Dhaba: দিল্লির কান্তা প্রসাদকে মনে আছে? বেশি দিন নয়, গত বছরেরই কথা। দিল্লির একটি ছোট রেস্তরাঁর মালিক কান্তা প্রসাদ রীতিমতো নেটদুনিয়ায় বিখ্যাত হয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর 'বাবা কা ধাবা' লকডাউনে নেটিজেনদের মন কেড়েছিল। তাঁর বিখ্যাত হওয়ার নেপথ্যে ছিলেন একজন ইউটিউবার। তাঁর ভিডিও দেখেই ভিড় জমে কান্তা প্রসাদের দোকানে। কিন্তু ইউটিউবারের বিরুদ্ধেই চুরির অভিযোগে মামলা করেছিলেন কান্তা।
Advertisment
বছর ঘুরতেই ফের পুরনো ধাবায় ফিরেছেন কান্তা। ঝাঁ চকচকে রেস্তরাঁয় সেভাবে ব্যবসা হচ্ছে না। পুরনো জায়গায় ফিরে বিলম্বিত বোধোদয় হয়েছে কান্তা প্রসাদের। সম্প্রতি স্বাদ ইউটিউব চ্যানেলের সেই গৌরব ওয়াসানের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন 'বাবা কা ধাবা'র বৃদ্ধ মালিক। করণ দুয়া নামে আরেক ফুড ব্লগার একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। সেখানে সেই অশীতিপর বৃদ্ধ হাতজোড় করে ক্ষমা চেয়ে হিন্দিতে বলছেন, "গৌরব ওয়াসান চোর নয়। আমরা তাঁকে কখনও চোর বলিনি। আমার ভুল হয়েছে এটা বলা যে, তাঁকে আমরা ডাকিনি, ওঁ নিজেই আমাদের কাছে এসেছিল। আমি তার জন্য ক্ষমা চাইছি।"
উল্লেখ্য, গত বছর দিল্লির মালব্য নগরের বাবা কা ধাবার মালিক কান্তা প্রসাদের একটা ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করে গৌরব। সেই ভিডিওতে কাঁদতে কাঁদতে কান্তা বলেন, লকডাউনের কারণে কেউ খেতে আসছেন না, খদ্দের না থাকায় লোকসান হচ্ছে। সেই ভিডিও দেখে মন গলে নেটিজেনদের। তারপরই খদ্দেরদের ভিড় লেগে যায় 'বাবা কা ধাবা'য়। অনেকেই কান্তা প্রসাদকে অর্থ সাহায্যও করেন। সেই নিয়ে বাধে গোল।
গত বছর নভেম্বরে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের কাছে কান্তা অভিযোগ করেন, যে তিনি মাত্র ২ লক্ষ টাকার চেক পেয়েছেন ওয়াসানের কাছ থেকে আর মানুষ ভিডিও দেখার পর শুধু সেলফি তুলতে আসতেন, তেমন বিক্রি বাড়েনি। এররপর দিল্লি পুলিশে ওয়াসানের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেন কান্তা। তখন তাঁর অভিযোগ অস্বীকার করেন গৌরব। কিন্তু গত ডিসেম্বরে চালু করা রেস্তরাঁ খদ্দেরের অভাবে বন্ধ করতে হয়েছে কান্তাকে। ফের পুরনো ফুটপাথের ধারে দোকানে ফিরেছেন তিনি। সেইসঙ্গে নিজের ভুলও বুঝতে পেরেছেন 'বাবা কা ধাবা'র মালিক।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন