হাতের চমকে আগুনে ছবি, গিনেস বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলতে মরিয়া সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার যুবক সমরেশ মাইতির। ছোট থেকেই সঙ্গী দারিদ্র। তা তা উপেক্ষা করেই সাদা ক্যানভাসে জীবন্ত ছবিকে ফুটিয়ে তোলেন সমরেশ। তাঁর তুলির ছোঁয়ায় যেন ক্যানভাসের ছবিগুলিও নতুন প্রাণ পায়। সমরেশের এমন প্রতিভাকে কুর্নিশ জানিয়েছে সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষ।
Advertisment
আর পাঁচ জনের থেকে অনেকটাই আলাদা ভাবে ছবিকে সাদা ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা পাথর প্রতিমা রামগঙ্গা অঞ্চল দক্ষিণ গোবিন্দপুরে সমরেশ। ছোট থেকেই কঠোর অনুশীলন জারি ছিল। আর সেই অনুশীলনের ফলেই সমরেশ ইতিমধ্যেই নাম তুলেছেন ইন্ডিয়ান বুক অফ রেকর্ডস ও ন্যাশনাল বুক অফ রেকর্ডসে'। এবার দারিদ্রকে সঙ্গী করে গিনেস বুক অফ রেকর্ডসেও নাম তুলতে মরিয়া সমরেশ। সামনে সাদা ক্যানভাস, মুখে তুলি তুলে অনায়াসেই এঁকে দিচ্ছেন রবীন্দ্রনাথ থেকে নজরুল।
শুধু মুখে কেন, কখন চোখে কখনও কানে বা শরীরের বিভিন্ন অংশে একসঙ্গে ২২ টি তুলি গুঁজে অনায়াসেই মাত্র ২ মিনিটেই তা দিয়ে ক্যানভাসে ‘ম্যাজিক’ সৃষ্টি করেন সমরেশ। তার এই অপরূপ শিল্পকর্ম ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সমাজ মাধ্যমে। ফেসবুক থেকে ইউটিউব সমরেশের এমন প্রতিভা তাক লাগিয়েছে সকলকেই। অভাবকে সঙ্গী করেই বেঁচে থাকা। ছোট বাচ্চাদের আঁকাও শেখান তিনি। তা থেকই সামান্য আয়। আর তা দিয়েই সংসার চালান সমরেশ।
তবে তার যে প্রতিভা সোশ্যাল মিডিয়ায় সকলের নজর কেড়েছে তা হল আগুনের সাহায্যে সিদ্ধিদাতা গণেশের ছবি! তবে কেন শরীরের একাধিক অঙ্গে তুলি গুঁজে সাদা ক্যানভাসে বাঘ-সিংহ ফুটিয়ে তোলেন সমরেশ? জানা গিয়েছে বিশেষ ভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের প্রতিভাকে কুর্নিশ জানাতেই এই কঠোর অনুশীলন সমরেশের। অবশেষে সফল! এখন একটাই লক্ষ্য গিনেস বুক অফ রেকর্ডসে নিজের নাম নথিভুক্ত করা।