Advertisment

Viral News: সকালে স্কুলে শিক্ষকতা, রাতে খাবার ডেলিভারি, শিক্ষকের কঠোর জীবন সংগ্রাম চোখে জল আনবে

Trending News: সকালে স্কুলে বাচ্চাদের স্কুলে পড়ান এবং রাতে খাবার ডেলিভারি....! এভাবেই দিন গুজরান বিহারের এই স্কুল শিক্ষক। কিন্তু প্রশ্ন হল কেন বিহারের স্কুল শিক্ষককে স্কুল শেষে জোমাটোর ডেলিভারি বয়য়ের কাজ করতে হচ্ছে?

author-image
IE Bangla Web Desk
আপডেট করা হয়েছে
New Update
bihar government teacher amit kumar working as a zomato food delivery boy

সকালে স্কুলে শিক্ষকতা, রাতে খাবার ডেলিভারি, শিক্ষকের কঠোর জীবন সংগ্রাম চোখে জল আনবে

Trending News: সকালে স্কুলে বাচ্চাদের স্কুলে পড়ান এবং রাতে খাবার ডেলিভারি....! এভাবেই দিন গুজরান বিহারের এই স্কুল শিক্ষক।  কিন্তু প্রশ্ন হল কেন বিহারের স্কুল শিক্ষককে স্কুল শেষে জোমাটোর ডেলিভারি বয়য়ের কাজ করতে হচ্ছে? 

Advertisment

ডেলিভারি বয় অমিত কুমারের জীবন সংগ্রামের কাহিনী সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে ঝড়ের বেগে। সকালে স্কুলে বাচ্চাদের পড়িয়ে, স্কুল ছুটির পর জোম্যাটোর ডেলিভারি বয় হিসাবে জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি। জানা গিয়েছে স্ত্রী'র পরামর্শে তিনি স্কুল শেষ করে সংসার চালাতে খাবার ডেলিভারি বয়ের পেশাকে বেছে নেন। অমিত বিহারের একটি সরকারি স্কুলে পার্শ্ব শিক্ষক হিসাবে কর্মরত। অমিতের বেতন মাত্র ৮ হাজার টাকা। এই  টাকায় সংসার চালানো রীতিমত কঠিন  আজকের এই মূল্যবৃদ্ধির বাজারে । এমন পরিস্থিতিতে সংসার চালাতে তিনি বেছে নেন ডেলিভারি বয়ের পেশাকে। 

করোনা অতমারীর পর বিহারের ভাগলপুরের হঠাৎ করেই আসে খুশির খবর। পরিবারের বড় ছেলে অমিত কুমার সরকারি চাকরি পান। মিত এখন বিহারের এক স্কুলের পার্শ্ব শিক্ষক। মাসিক ৮ হাজার টাকার সামান্য বেতনে শিক্ষকতা করেন তিনি। যা তার সংসার চালানোর জন্য যথেষ্ট নয়।

অমিত বলছেন, "আড়াই বছর পেরিয়ে গেলেও বেতনের অঙ্কটা বাড়েনি।  স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকরা বেতন পাচ্ছেন ৪২,০০০ টাকা, সেখানে আমি ৮ হাজার টাকা বেতন পাচ্ছি। তারা আমার চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি বেতন পাচ্ছেন তারা। এমন পরিস্থিতিতে সংসার চালাতে জোম্যাটোর ডেলিভারি বয়ের কাজকে বেছে নিয়েছি"। 

Advertisment

জানা গিয়েছে, এই বছরের শুরুতে অমিত এবং অন্যান্য পার্শ্ব শিক্ষকরা চার মাস ধরে বেতন পাননি। এ কারণে তাকে সংসার চালাতে বন্ধুদের কাছ থেকে টাকা ধার করতে হয়েছে। কিন্তু বাড়ছিল ধারের পরিমাণ। অবশেষে স্ত্রীর পরামর্শ মেনে ,অমিত ফুড ডেলিভারি কর্মী হিসাবে Zomato-তে যোগ দেন। 

আগে অমিত একটি বেসরকারি স্কুলে চাকরি করতেন, কিন্তু কোভিড-১৯ মহামারী তার চাকরি কেড়ে নেয়। ২০১৯ সালে, তিনি সরকারী পরীক্ষা দেন এবং ১০০ এর মধ্যে ৭৪ নম্বর পান। দীর্ঘ অপেক্ষার পর ২০২২ সালে চাকরি পান তিনি।

অমিত বলেন, “আমি যে টাকা মাইনে পাই, আমি সংসার চালাতে পারছি না। আমি যদি নিজে না খেতে পারি, তাহলে আমার ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে কী করে খাওয়াবো? আমাকে আমার বৃদ্ধ মায়ের দেখভাল করতে হয়। তাই আমি দুটি কাজ করতে বাধ্য হচ্ছি”।

viral
Advertisment