কয়েক ঘণ্টার জন্য অ্যাকাউন্টে ২৭ হাজার কোটি টাকা। চোখ কার্যত ছানাবড়া দিনমজুরের। জানা গিয়েছে মাঠে ঘাটে কাজ করে সংসারের জিনিসপত্র কিনতে কিছু টাকা তুলতে যান বিহারীলাল নামের এক শ্রমিক। টাকা তোলার পর ব্যালেন্স চেক করতে গিয়েই ভিরমি খাওয়ার জোগাড়। বিহারীলালের অ্যাকাউন্টে তখন রয়েছে ২৭ হাজার কোটি টাকা। এত টাকা অ্যাকাউন্টে কীভাবে এল এই প্রশ্ন নিয়েই তিনি ছুটে যান ব্যাঙ্কে। সেখানে গিয়েই তিনি জানতে পারেন তার অ্যাকাউন্টে রয়েছে ২৭ হাজার কোটি টাকা। একথা শুনে তিনি ব্যাঙ্ক কর্মীকে ফের একবার টাকার অঙ্ক বলার অনুরোধ করেন। ব্যাঙ্ককর্মী একই উত্তর দিলে তিনি কার্যত হতবম্ভ হয়ে যান।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বিহারীলাল জানান, 'আমি একটি ইটভাটায় কাজ করি। সংসারের জন্য ১০০ টাকা তুলতে গিয়ে জানতে পারি আমার অ্যাকাউন্টে ২৭ হাজার কোটি টাকা রয়েছে। একথা জেনেই আমি ছুটে ব্যাঙ্কে যাই সেখানে গিয়ে তিনবার আমি ব্যালেন্স চেক করলে একই সংখ্যা দেখায়। পরে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে সবটা খুলে বললে তাঁরা আমাকে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে বলেন, ফের ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর আমাকে জানান হয় আমার ব্যালেন্স রয়েছে ১২৬ টাকা'। উত্তরপ্রদেশের কনৌজ জেলায় এই নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। যদিও কোথা থেকে এত টাকা তার অ্যাকাউন্টে এল তা নিয়ে ধন্দে রয়েছেন ব্যাঙ্ক আধিকারিকরাও।
আরও পড়ুন: <‘মান্ধাতার আমলে’র হাফপ্যান্টের দাম ১৫ হাজার টাকা, চোখে সর্ষেফুল নেটপাড়ার >
ব্যাঙ্কের সিনিয়ার ম্যানেজার অভিষেক সিনহা সাংবাদিকদের জানান, 'কোন কারণে ওই দিনমজুরের অ্যাকাউন্টে এত পরিমাণ টাকা এন্ট্রি হয়েছিল। বিষয়টি প্রাথমিকভাবে ব্যাংকিং ত্রুটি বলেই মনে হচ্ছে। কিছু সময়ের জন্য ওনার ওই অ্যাকাউন্টটি থেকে সকল প্রকার ট্রাকজ্যাকশন করা স্থগিত রাখতে বাধ্য হই। এই মুহূর্তে সব কিছুই ঠিক আছে। ওনার অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স এখন ১২৬ টাকা'। এর আগে অনুরূপ একটি ঘটনায় বিহারের কাটিহারে ষষ্ঠ শ্রেনির দুই ছাত্রের অ্যাকাউন্টে জমার পরিমাণ দেখায় ৯০০ কোটিও বেশি টাকা । সেই ঘটনাতেও শোরগোল পড়ে যায়। পরে যায় সিস্টেমের ত্রুটির কারণেই এই বিভ্রাট।